আসন্ন গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৫০টি নিবন্ধিকৃত কিন্তু অস্বীকৃত রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এই দলগুলোর মধ্যে আছে এসভিপিপি, পিপিপি, এনএমপি, জেডিপি প্রভৃতি দল।
SVPP – অর্থাৎ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল পার্টি, পিপিপি - পাচাসি পরিবর্তন পার্টি, এনএমপি - জাতীয় মহাসভা পার্টি, জেডিপি - জনসেবা ড্রাইভার পার্টি, এবং এমনকি একটি লগ পার্টিও রয়েছে।
২০১৭ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে ৫৪টি নিবন্ধিত কিন্তু অস্বীকৃত দলের ৩৬৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং ১.৭১% ভোট পেয়েছেন, যার অর্থ ৫,১৩,০৩০ ভোট।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক নরেশ ভারিয়া আইএএনএসকে জানিয়েছেন, "যেহেতু আমরা সাধারণ জ্ঞান, বা রাজনীতি এবং নির্বাচনের সাথে যুক্ত পেশায় আছি, তাই আমরা আগেই নির্বাচন কমিশনের তালিকায় থাকা নাম পড়ার সুযোগ পাই বা প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হলে তা জানতে পারি। সাধারণ মানুষ তা ভোটের দিন জানার সুযোগ পায়, তাও যদি পুরো ব্যালট পেপার বা ইভিএম মেশিনে প্রার্থীর তালিকা তাঁরা পড়ে।
ভারিয়া জানিয়েছেন, এই রাজনৈতিক দলগুলোর কোনোটিই বাকি বছরগুলোতে সক্রিয় নয় বা কোনো সামাজিক কাজের সঙ্গেও যুক্ত থাকেনা। এই জাতীয় একটি ছোট দল কিছু নাম এবং খ্যাতি পেতে পারে যদি অন্য কোনও নেতা দলে যোগ দেন। তবে গুজরাটে এই ছোটো দলগুলির সাথে এখনও এমন ঘটেনি।
প্রবীণ সাংবাদিক সুরেশ ভানোলও এই রাজনৈতিক দলগুলোর কথা নির্বাচন ছাড়া খুব কমই শুনেছেন। কিন্তু নির্বাচনে এমন একটি দল বা ব্যক্তি সম্পর্কে তিনি একটি মজার তথ্য পেয়েছেন।
২০২২ সালের নির্বাচনে, জনৈক মনু প্যাটেল বিজেপি, কংগ্রেস, আপ এবং সেইসাথে একজন নির্দল প্রার্থী হিসেবে উনঝা আসন থেকে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। ভানোল তার কাছে জানতে চাইলে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা বলেন, তিনি ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে চান, তাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। শীর্ষস্থানীয় তিনটি দল তাকে টিকিট না দেওয়ায় অবশেষে সোমবার তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
ডঃ পিসি প্যাটেল নামক এক ব্যক্তি এবার বেচারাজি আসনের জন্য ভারতীয় রাষ্ট্রবাদী পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। খুব কম লোকই জানেন যে প্যাটেলই প্রথম ব্যক্তি যিনি ২০১২ সালের নির্বাচনে পাটিদারদের জন্য সংরক্ষণের দাবি করেছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন