‘হ্যায় তৈয়ার হম’ শ্লোগান তুলে আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করছে কংগ্রেস। ১৩৮ বছরের পুরোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে এই প্রচার শুরু হবে মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে। নাগপুরের যে ময়দান থেকে এই প্রচার শুরু হবে সেই ময়দানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত জোড়ো ময়দান’।
অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি (এআইসিসি) এবং মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি (এমপিসিসি) এই সমাবেশের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কংগ্রেস সূত্র থেকে জানানো হয়েছে ১৯২০ সালে এই নাগপুর থেকে মহাত্মা গান্ধী অসহযোগ আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। সেই ইতিহাস মাথায় রেখেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরুর জন্য নাগপুরকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা ছাড়াও এই সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা, বিভিন্ন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা।
সোমবার এই সমাবেশের ঘোষণা করে মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে জানান, বর্তমানে দেশে পরিকল্পিত ভাবে গণতন্ত্র এবং সংবিধানের গলা টিপে ধরা হচ্ছে। বিজেপি সরকার এই কাজ করছে পরিকল্পিতভাবে। মুদ্রাস্ফীতি, বেকারি, কৃষক এবং শ্রমিকদের সমস্যাকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। অত্যাচারী বিজেপি সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশকে সঠিক পথে চালিত করার দায়িত্ব কংগ্রেসের।
তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসের দায়িত্ব এক দুর্নীতিমুক্ত ভারত গড়ে তোলা, বেকারদের কাজের ব্যবস্থা করা, মুদ্রাস্ফীতি কমানো, কৃষক ও শ্রমিকদের ন্যায় দেওয়া, গণতন্ত্র এবং সংবিধান রক্ষা করা। এই কারণেই এই সমাবেশের মূল শ্লোগান রাখা হয়েছে ‘হ্যায় তৈয়ার হম’।
নানা পাটোলে আরও দাবি করেন যে, ওইদিনের সমাবেশে সারা মহারাষ্ট্র থেকে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হবে। প্রসঙ্গত, এই নাগপুরেই বিজেপির মতাদর্শগত সংগঠন আরএসএস-এর সদর দপ্তর।
এদিন সাংবাদিকরা ইভিএম প্রসঙ্গে নানা পাটোলেকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি ইভিএম-এর বিরোধিতা করেছিলেন। এখন মানুষ যদি মনে করেন, তারা যেখানে ভোট দিচ্ছেন সেখানে ভোট না গিয়ে অন্য দলের কাছে ভোট চলে যাচ্ছে তাহলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত। যদি মানুষ আবার ব্যালট ফিরিয়ে আনার দাবি জানায় তাহলে আবার ব্যালট ফিরিয়ে আনার কথা নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে ভাবতে হবে।
- with Agency Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন