উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেস প্রচার কমিটির প্রধান, হরিশ রাওয়াত তাঁকে দলীয় বিষয়ে বাধাহীন ভাবে কাজ করতে না দেওয়ার জন্য দলকে নিশানা করলেন। বুধবার একাধিক টুইট বার্তায় তিনি তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, "এখন বিশ্রাম নেওয়ার সময় হয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে।" রাওয়াতের এই প্রকাশ্য মন্তব্যের পরেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিন নিজের ট্যুইটে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলেন, "এটা কি বিচিত্র নয়? যখন আমাদের নির্বাচনের সাগরে সাঁতার কাটতে হয়, তখন দলীয় সংগঠনের সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত, কিন্তু তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং নেতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। আমাকে সাগরে সাঁতার কাটতে হবে। যেখানে ক্ষমতাসীন দল অনেক কুমিরকে ছেড়ে দিয়েছে এবং আমার হাত-পা বাঁধা। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে আমি খুব বেশি পরিশ্রম করেছি এবং এখন বিশ্রাম নেওয়ার সময়। আমি দ্বিধায় আছি, নতুন বছর আমাকে পথ দেখাতে পারে, এবং ভগবান কেদারনাথ আমাকে আমার পথ দেখাবেন।"
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াতের এই ক্ষোভ উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেসের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ নারায়ণ দত্ত তিওয়ারি এবং ইন্দিরা হৃদয়েশের মৃত্যুর পরে রাওয়াত ছাড়া আর কোনও মুখ নেই যার বিভিন্ন রাজ্যে প্রভাব আছে৷
সূত্র অনুসারে, মূল ক্ষোভের কারণ নির্বাচনী মনোনয়ন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী টিকিট বণ্টন নিয়ে ক্ষুব্ধ এবং তিনি দলীয় বিষয়ে আরও কিছু বলতে চান। রাওয়াত চান যে তাঁকে নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করুক। যা তাঁর সমর্থকদেরও প্রধান দাবি। যদিও কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের পক্ষ থেকে এখনও এই ধরণের কোনো ঘোষণা করা হয়নি।
তবে দলের রাজ্য ইনচার্জ দেবেন্দ্র যাদব ফোন কলে সাড়া দেননি এবং রাওয়াতের অনুগতদের দাবি, রাজ্য ইনচার্জ তাঁর পরামর্শ শোনেন না বলে তিনি দলের প্রতি বিরক্ত। প্রসঙ্গত, রাওয়াত যখন পাঞ্জাবের ইনচার্জ ছিলেন তখনই অমরিন্দর সিংকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রাজ্য থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এখন রাওয়াত নতুন টিমের সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করতে রাজ্যেও একই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন