চার রাজ্য গেরুয়াময়। ব্যতিক্রম পঞ্জাব। হাজারো অপরাধমূলক, বিতর্কিত ঘটনা দূরে সরিয়ে উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকেই ফের ক্ষমতায় এনেছেন সেরাজ্যের মানুষ। কীভাবে এই জয় সম্ভব হল? এই জয়ের পিছনে কি রয়েছে 'মায়ার খেলা'? এমনটাই অবশ্য মনে করছে শিবসেনা।
অন্য বিরোধী দলগুলির মতো তারাও বিজেপির এই জয়ের পিছনে একই ছবি দেখতে পাচ্ছেন। শিবসেনা কটাক্ষ করে বলছে - উত্তরপ্রদেশে যেভাবে মায়াবতী ও আসাদউদ্দিন ওয়েইসিরা বিজেপিকে সাহায্য করেছেন, তাতে বিজেপির উচিত তাঁদের পদ্মবিভূষণ-ভারতরত্নের মতো খেতাব দেওয়া।
শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশে অখিলেশের আসন প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে। মায়াবতী ও ওয়েইসি আসলে সাহায্য করেছে বিজেপিকে জিততে। তাই ওদের পদ্মভূষণ, ভারতরত্ন দেওয়া উচিত। রাজনৈতিক মহল অবশ্য আগে থেকেই ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, মায়াবতী ও ওয়েইসি বিরোধী ভোট কাটতে পারে। আর তাতে সুবিধা হবে বিজেপিরই। কিন্তু ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের ভোটে বিজেপিরই পকেট পূর্ণ হয়েছে। অস্তিত্ব বিপন্ন হয়েছে মায়াবতীর।
উত্তরপ্রদেশে মায়াবতীর ভোট কমে গিয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। সেই ভোটের একটা অংশ গিয়েছে বিজেপি শিবিরে। তাৎপর্যের বিষয়, হারের পর্যালোচনা করতে গিয়ে দলিত নেত্রী সেকথা স্বীকারও করেছেন।
মায়াবতীর বক্তব্য, সমাজবাদী পার্টি ক্ষমতায় এলে জঙ্গলরাজ ফিরে আসতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই দলিতও ব্রাহ্মণরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। দলের কোর ভোটাররা একই ভাবনায় চালিত হয়েছেন। অন্যদিকে ওয়েইসির এআইএমআইএম সেভাবে প্রভাব ফেলেনি বটে। কিন্তু বেশ কয়েকটি আসনে ভোট কেটেছে। আর তাতে লাভের লাভ হয়েছে গেরুয়া শিবিরেরই।
বিজেপিকে অবশ্য তীব্র কটাক্ষ করেন এককালের জোটসঙ্গীর নেতা সঞ্জয় রাউত। শিবসেনা মুখপাত্র বলেন, বিজেপি জিতেছে ঠিকই। কিন্তু উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী, গোয়ার দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রী, উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী হেরে গিয়েছেন। তাছাড়া পঞ্জাবে কেন হারল বিজেপি? সেখানে তো প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবাই প্রচার করেছিলেন। আসলে নৈতিক দিক বিচার করলে পাঞ্জাবে কংগ্রেসের থেকে বেশি হারিয়েছে বিজেপি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন