হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন চারবারের বিধায়ক সুখবিন্দর সিং সুখু। রাজ্যের পঞ্চদশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি রবিবার শপথ নেন। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান হিমাচল প্রদেশের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আরলেকার। এদিন সুখুর সঙ্গেই উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মুকেশ অগ্নিহোত্রী। তিনি বিদায়ী হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ছিলেন।
এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মা, হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডা, হিমাচল কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজীব শুক্লা, রাজ্য কংগ্রেস সভানেত্রী প্রতিভা সিং এবং কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট। উপস্থিত ছিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সুখুর মা, স্ত্রী ও কন্যা।
প্রসঙ্গত, হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস রাজনীতিতে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং-এর বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত সুখবিন্দর সিং সুখু। যিনি রাজ্যের হামিরপুর জেলার নাদাউন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে চারবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হামিরপুর জেলা থেকে রাজ্যের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে এই জেলা থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিজেপি নেতা প্রেম কুমার ধূমল।
সুখবিন্দর সিং সুখু ছাড়া এর আগে হিমাচল প্রদেশে যারা যারা মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তাঁরা সকলেই আপার হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা। যাঁদের মধ্যে আছেন ওয়াই এস পারমার, বীরভদ্র সিং এবং রামলাল ঠাকুর। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সুখুর মনোনয়ন ব্যতিক্রমী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ তিনি লোয়ার হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা।
এক বাসচালকের পুত্র, তৃণমূল স্তর থেকে উঠে আসা সুখবিন্দর সিং সুখু (৫৮) ছাত্রাবস্থাতেই সানঝাউলি কলেজে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই রাজ্যের ছাত্র ইউনিটের প্রধান নির্বাচিত হন। এরপরেই ধীরে ধীরে এনএসইউআই জাতীয় সম্পাদক, যুব কংগ্রেস সভাপতি, হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পথ পেরিয়ে তিনি নেতৃত্বের শীর্ষ স্তরে উঠে আসেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর শপথের সঙ্গে সঙ্গেই হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস রাজনীতি প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং-এর ছায়া থেকে বেরোলো বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
হিমাচল প্রদেশের সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছ থেকে কংগ্রেস ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছে। ৬৮ আসন বিশিষ্ট রাজ্য বিধানসভায় কংগ্রেস জয়ী হয়েছে ৪০ আসনে এবং বিজেপি জয়ী হয়েছে ২৫ আসনে। সারা দেশে এই মুহূর্তে হিমাচল ছাড়াও রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের সরকার আছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন