ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়ো! এমনই অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হল আম আদমি পার্টি। নির্বাচনী হলফনামায় ভুয়ো নথি দেওয়ার জন্য তাঁর প্রার্থীপদ বাতিলের আবেদন করেছে আপ। যদিও আপের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী। অভিনেতার দাবি, এই মুহূর্তে খড়্গপুর আইআইটি থেকে পোস্ট পিএইচডি ডিগ্রি করছেন তিনি। পাশাপাশি, লোকসভা নির্বাচন মিটলেই তিনি কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন।
২৫ মে ঘাটালে ষষ্ঠ দফায় নির্বাচন। তার আগে ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হল আপ। আপের অভিযোগ, নির্বাচনী হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুয়ো তথ্য দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। এমনকি, বিজেপি প্রার্থী কোনও ভাবেই খড়্গপুর আইআইটির সঙ্গে যুক্ত নন। আরটিআই করে জানতে পারা গিয়েছে বলে দাবি তাদের। নির্বাচনী হলফনামায় ভুয়ো তথ্য দেওয়ার জন্য হিরণের প্রার্থী পদ বাতিলের আবেদন জানিয়েছে আপ।
যদিও আপের করা এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন হিরণ। এক সংবাদ মাধ্যমে হিরণ জানিয়েছেন, তাঁর পিএইচডি আগেই সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে তিনি খড়্গপুর আইআইটি থেকে পোস্ট পিএইচডি করছেন। তাঁর এই গবেষণা স্পনসর বলেই জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। বেসরকারি এক সংস্থার হয়ে তিনি গবেষণা করছেন খড়্গপুর আইআইটির এক অধ্যাপকের কাছে।
হিরণ জানিয়েছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পোস্ট পিএইচডি করার সময় কোনও সংস্থার হয়ে গবেষণা করতে হয়। কোনও বেসরকারি সংস্থার তরফে এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় যেখানে গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে। এর পর ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে সংস্থাটির হয়ে কোনও একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে গবেষণা চালানোর আবেদন জানানো হয়। আবেদন গৃহীত হলে বিশ্ববিদ্যালয় ওই গবেষণার জন্য গবেষক বেছে নেয়। পুরো গবেষণার খরচ বহন করে ওই সংস্থা। বর্তমানে হিরণও সে রকমই এক সংস্থার হয়ে আইআইটি খড়্গপুর থেকে পোস্ট পিএইচডি করছেন।
হিরণ আরও জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচন মিটলে খড়্গপুর আইআইটির বিরুদ্ধে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে। সংবাদ মাধ্যমে কটাক্ষ করে হিরণ জানান, “পিএইচডি ডিগ্রি না থাকলে তো পোস্ট পিএইচডি করা যায় না। এই নিয়ে জ্ঞানগম্যি যাদের নেই, তাদের সম্পর্কে কী আর বলব! যদি কারও সন্দেহ থাকে, তা হলে সোজা কোর্টে চলে যান। আমার নামে মামলা করুন। বাকি আইন আইনের পথে চলবে। আমি তো মানুষের সঙ্গে কাজ করছি মানুষের জন্য।“
হিরণ আরও বলেন, ‘‘এর পিছনে শুধু আপ নয়, তৃণমূলও রয়েছে। কী ভাবে এই রকম আরটিআই রিপোর্ট দেওয়া হল, বুঝতে পারছি না। লোকসভা নির্বাচন মিটলেই আমি খড়্গপুর আইআইটির বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যাব।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন