ভোটের আগে ‘কয়েকশো কোটি’ টাকা লেনদেনের কথা বলছেন মধ্যপ্রদেশের হেভিওয়েট বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের ছেলে দেবেন্দ্র সিং তোমর। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এই ঘটনার আরও একটি ভিডিও। কয়েক সপ্তাহ আগে এমনই একটি ভিডিও হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছিল। ভিডিওর সত্যতা সেভাবে যাচাই করা না হলেও কংগ্রেস এই ঘটনা নিয়ে মধ্যপ্রদেশ বিজেপিকে আক্রমণে কোনও খামতি রাখেনি।
এই ঘটনার সদ্য ভাইরাল হওয়া দ্বিতীয় ভিডিওতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে দেবেন্দ্র সিং তোমরকে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে প্রায় ‘কয়েকশো কোটি টাকা’র লেনদেন নিয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। সেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি দেবেন্দ্রকে বলেন, চণ্ডীগড়ের কোনও এক সিএ তাঁদের জানাবেন প্রতিমাসের টাকার পরিমাণ। সেটা ৫০ কোটি, ১০০ কোটি বা ৫০০ কোটিও হতে পারে। পরে দেবেন্দ্রকে বলতে শোনা যায়, “প্রথম মাসে ওরা কত টাকা পাঠাবে?” এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে এইধরনের ভিডিওর প্রকাশ রাজ্যের বিজেপি সরকারের জন্য খুব একটা ভালো ‘লক্ষণ’ নয় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও এই ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছে। রাজ্যের নীমুচ এবং ভোপালের জনসভায় ভিডিওর প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধী।
নীমুচের সভায় রাহুল এই ঘটনায় ইডির হস্তক্ষেপ দাবি করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর উদ্দেশ্যে বলেন, “এখন প্রধানমন্ত্রী তার ইডিকে পাঠাচ্ছেন না কেন?” সোমবার ভোপালের সভা থেকেও একই দাবি তোলেন কংগ্রেস সাংসদ।
রাহুল বলেন, “ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে গরীব চাষি, দরিদ্র মধ্যবিত্ত আর শ্রমিকদের টাকা চুরি করছেন। কিন্তু মোদী সরকার এখন তার দুই প্রধান কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) ও সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI)-কে পাঠাচ্ছে না কেন?”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন