ভোটের আবহে রাজ্যের দুই পুলিশ আধিকারিককে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। আনন্দপুরের ওসি এবং ডায়মন্ড হারবার আইসিকে সরালো করল কমিশন। জানা গেছে, বিজেপির অভিযোগের পরেই কমিশনের এই পদক্ষেপ।
আনন্দপুরের এক বিজেপি নেত্রীকে কোপানোর অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করলেও তাদের লঘু ধারা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। তার জেরেই অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে যান বলে দাবি করে বিজেপি। ওসি সুমন দের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। এর বিরোধিতা করে আনন্দপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানায় বিজেপি।
অন্যদিকে, ডায়মন্ড হারবারের সরিষায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি দোকান পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় বিজেপির মন্ডল সভাপতি সহ বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থকদের। মিথ্যা অভিযোগে দলীয় নেতা, কর্মীকে ফাঁসানোর অভিযোগ তোলেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। ডায়মন্ড হারবার থানার আইসি শুভাশিস ঘোষের বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান।
এই দুই অভিযোগের ভিত্তিতে আনন্দপুরের ওসি সুমন দে ও ডায়মন্ড হারবার আইসি শুভাশিস ঘোষকে ভোটের আবহে সরালো নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ওই দুই পুলিশ আধিকারিককে ভোটের কাজে লাগানো যাবে না।
কমিশনের এই পদক্ষেপের পর বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, "এমন পুলিশ আধিকারিক আছেন যাঁরা খোলাখুলি তৃণমূলের ক্যাডারের মতো কাজ করছেন। এঁদেরকে আরও কয়েক বছর চাকরি করতে হবে। দিদির আঁচলের তলায় বসে থাকা চলবে না, রোদে বেরোতেই হবে। তারপর খোলা মাঠে আসতে হবে, তখন হিসেব বুঝে নেব।"
অন্যদিকে, এই এ নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ জানিয়েছেন, "আমরা বার বার বলছি, কমিশন একেবারে ঠিক করেছে। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে যা যা করণীয়, তাকে স্বাগত জানাই। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একাংশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। যেমন নির্দেশ আসবে, বিরোধীদের দুরমুশ করা হবে, তেমন ভোট করা হবে। ডায়মন্ড হারবারে কীভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হয়, তা নজির হয়ে রয়েছে। এমন অনেক থানা আছে। পুলিশের একটি বড় অংশের তৃণমূলের জামাটা গায়ে চাপানো আর পতাকাটা ধরা বাকি আছে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন