আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই জনসংযোগে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে ইন্ডিয়া মঞ্চ। এর আগেই মুম্বাই বৈঠক থেকে দেশের পাঁচ শহর – পাটনা, নাগপুর, চেন্নাই, গুয়াহাটি এবং দিল্লিতে জনসভা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে এই পাঁচ শহর ছাড়াও লখনৌ, ভোপাল এবং জয়পুরেও আরও তিনটি জনসভা করবে ইন্ডিয়া মঞ্চ।
সূত্র অনুসারে, ইন্ডিয়া মঞ্চের ২১ সদস্যের প্রচার কমিটি আগামীকাল মঙ্গলবার এই বৈঠকের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিভা-র বাসভবনে মিলিত হয় এই ২১ সদস্যের প্রচার কমিটির সদস্যরা।
জানা গেছে, লোকসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে ইন্ডিয়া মঞ্চের প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হবে পাটনায়। বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির পাল্টা হিসেবে এই জনসভা থেকে জাতিগত জনগণনাতে জোর দেওয়া হবে।
যদিও এই সভার বিষয়ে তৃণমূলের মনোভাব এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ সূত্র অনুসারে, জাতিগত জনগণনাতে আপত্তি আছে তৃণমূলের।
নাগপুরের সভার ক্ষেত্রেও ইন্ডিয়া মঞ্চের পক্ষ থেকে জোর দেওয়া হবে বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে। এখানেই যেহেতু আরএসএস-এর সদর দপ্তর তাই নাগপুরের সভায় জোর দেওয়া হবে ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর।
গুয়াহাটিতে ইন্ডিয়া মঞ্চের যে সভা অনুষ্ঠিত হবে সেখানে জোর দেওয়া হবে উত্তর পূর্বাঞ্চলের ঘটনাবলী, বিশেষ করে মণিপুরের সাম্প্রতিক ঘটনার ওপর।
চেন্নাইতে ইন্ডিয়া মঞ্চের যে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে সেই জনসভায় কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্কের ওপর জোর দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। দিল্লিতে কোন বিষয়ে জনসভা করা হবে তা এখনও নির্দিষ্ট করা হয়নি।
এই পাঁচ জনসভার বাইরে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে জনসভা করার আগে সেই রাজ্যের মুখ্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সভার দিন ঠিক করা হবে। এইক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি এবং রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার পরেই সভার দিন চূড়ান্ত হবে।
এছাড়াও আগামী ২ অক্টোবরকে সামনে রেখে ইন্ডিয়া মঞ্চের পক্ষ থেকে এক ঘোষণা পত্র প্রকাশ করার কথা ভাবা হয়েছে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ১১ সদস্যের রিসার্চ কমিটি। জানা গেছে, ছোটো আকারে মূলত বিষয়ভিত্তিক ভাবে ছোটো আকারে এই ঘোষণা পত্র বা ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ তৈরির কথা ভাবা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন