লোকসভা ভোটে তৃতীয় দফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF)। শনিবার সকালে ফুরফুরা শরীফে সাংবাদিক বৈঠকে করে রাজ্যের আরও চারটি কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন আইএসএফ নেতৃত্ব। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১৭ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফ।
জঙ্গিপুর, তমলুক, বনগাঁ ও কৃষ্ণনগর – শনিবার এই চারটি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছে আইএসএফ। জঙ্গিপুরে প্রার্থী হলেন সাজাহান বিশ্বাস। তমলুকে মহিউদ্দিন আহমেদ (মাহি)। বনগাঁয় প্রার্থী করা হয়েছে দীপক মজুমদারকে। কৃষ্ণনগরে আইএসএফের প্রার্থী আফরোজা খাতুন (মন্ডল)।
তমলুকের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ (মাহি) এক আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী। উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে ২০১৬ সালে তৎকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি আসন্ন লোকসভায় তমলুকের বিজেপি প্রার্থী, তাঁর এজলাসে মামলা করেছিলেন মাহি।
লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে যে জোট করে লড়বে না নওশাদ সিদ্দিকির দল, তা শ্রীরামপুরে বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরের বিপক্ষে প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এরপর ধাপে ধাপে মোট ১৭ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে আইএসএফ। ফলত জোট যে হচ্ছে না, তা পরিষ্কার হয়ে গেছে।
আসন সমঝোতার বিষয়ে আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি জানিয়েছিলেন, তারা জোট করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বামেদের জন্য জোট হল না।
যদিও নওশাদ সিদ্দিকির এই অভিযোগ নাকচ করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমের সমর্থনে প্রচারে বেরিয়ে বিমান বসু জানান, “আইএসএফ ২-৩ সিটে লড়তে চাইলে আমরা বোঝাপড়া করতাম। কিন্তু তারা ৮ টা সিট দাবি করেছে। আর এখানে বোঝাপড়া করা যায় না।“
এর আগে গত ২১ মার্চ ও ৪ এপ্রিল প্রথম ও দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল আইএসএফ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন