ডায়মণ্ড হারবারে প্রার্থী ঘোষণা করল আইএসএফ। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন না নওশাদ সিদ্দিকি। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফুরফুরা শরিফে সাংবাদিক বৈঠক করেন আইএসএফ নেতৃত্ব। ডায়মণ্ড হারবার সহ রাজ্যের আরও মোট পাঁচ কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেন তাঁরা। ডায়মন্ড হারবারে আইএসএফ প্রার্থী হলেন মজনু লস্কর।
এছাড়া বাম-কংগ্রেসের জোট করে লড়া যাদবপুর কেন্দ্রেও প্রার্থী ঘোষণা করল আইএসএফ। যাদবপুরে তাদের প্রার্থী আইনজীবী নুর আলম খান। বালুরঘাট কেন্দ্রে আইএসএফ প্রার্থী হচ্ছেন অধ্যাপক ডাঃ মোজাম্মেল হক। এই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবারও বিজেপির প্রার্থী তিনি।
উলুবেড়িয়ায় প্রার্থী হয়েছেন অধ্যাপক মফিকুল ইসলাম, ব্যারাকপুরে প্রার্থী হয়েছেন আইনজীবী জামির হোসেন। পাশাপাশি বসিরহাট কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করেছে আব্বাস সিদ্দিকির দল। নতুন প্রার্থী আক্তার আলি বিশ্বাস। এর আগে প্রার্থী হয়েছিলেন শহিদুল ইসলাম মোল্লা।
এছাড়াও ভগবানগোলা বিধানসভার উপনির্বাচনেও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে আইএসএফ। সেখানে প্রার্থী হচ্ছেন মুর্শিদ আলম। ্তবে বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি আইএসএফ।
গত কয়েকমাস থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে জোরালো জল্পনা ছিল সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ডায়মণ্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। নওশাদ নিজেও জানিয়েছিলেন, দল তাঁকে মনোনয়ন দিলে তিনি অবশ্যই লড়বেন। বাম-কংগ্রেসও নওশাদকে সমর্থন করবে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু আইএসএফ নেতৃত্ব তাঁকে প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দেয়নি বলেই জানিয়েছেন নওশাদ।
নওশাদ প্রার্থী না হওয়ায় কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তমলুক লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চেয়ে নিজেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তার পর নিজেই সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়াকে নৌশাদ সিদ্দিকী বলে। এ জন্যই আমরা বলি, পান্তা ভাত খেয়ে বিরিয়ানির ঢেঁকুর তোলা উচিত না।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন