আগামী ১ জুন সপ্তম দফায় ভোট যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে। তার আগে বৃহস্পতিবার সকালে বারুইপুর স্টেশনে জনসংযোগ করেন যাদবপুর কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। সেখান থেকে ২০১০ সালের পর বাতিল হওয়া ওবিসি শংসাপত্র প্রসঙ্গে তৃণমূলকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “তৃণমূল আর পাঁচটা দুর্নীতি, অনিয়ম, বেনিয়মের মতো ওবিসিকেও ঘেঁটে ঘ করে দিয়েছে। তৃণমূল তাড়াও, বাংলা বাঁচাও, চাকরী ফেরাও।“
উল্লেখ্য, বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট ১২ বছর পর ওবিসি সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণা করে। তৃণমূল আমলে দেওয়া সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দেয়। এর ফলে প্রায় ৫ লক্ষ শংসাপত্র বাতিল। এই শংসাপত্র ব্যবহার করা যাবে না নতুন কোনো চাকরির ক্ষেত্রে। তবে এই সার্টিফিকেট ব্যবহার করে যাঁরা ইতিমধ্যে সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন এই রায়ে তাঁদের উপর প্রভাব পড়বে না।
এই রায় ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার সকালে বারুইপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ভোট প্রচারে বেরিয়ে যাদবপুরের সিপিআইএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করে বলেন, “রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বামফ্রন্ট সরকার দেশে প্রথম ওবিসি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল। তৃণমূল আর পাঁচটাকে যেমন ঘেঁটে ঘ করে দেয়, দুর্নীতি-অনিয়ম-বেনিয়ম করে দেয়, ওবিসির ক্ষেত্রেও তাই করেছে। ফলত এক ধাক্কায় পাঁচ লক্ষ মানুষের ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে গেল। তৃণমূলের হাতে পড়লে এই জিনিস হতে বাধ্য। তৃণমূল তাড়াও, বাংলা বাঁচাও, চাকরি ফেরাও।“
শেষ লগ্নে ভোট প্রচার নিয়ে সৃজন বলেন, “প্রায় আড়াই মাস ধরে যাদবপুর লোকসভার সাতটি বিধানসভায় ভোট প্রচার করছি। যাদবপুর লোকসভা বিরাট বড় কেন্দ্র। যত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায় সেই চেষ্টা করেছি। এই আড়াই মাস ধরে যাদবপুর এলাকা ঘুরে মানুষের যা মুখ চোখ দেখেছি, যা বুঝেছি তৃণমূল, বিজেপি তোলাবাজি দাঙ্গাবাজির হাত থেকে নিষ্কৃতি চাইছে মানুষ। আমরা বামপন্থীরা মানুষের কাছে রুজি-রুটির কথা বলেছি। মানুষের কথা শুনেছি।“
বৃহস্পতিবার সকালেই বারুইপুর স্টেশনে ১, ২, ৪ নম্বর প্লাটফর্মের রেল যাত্রীদের ও হকার বন্ধুদের সঙ্গে তিনি আলাপচারিতা করেন। সেই সঙ্গে বারুইপুর স্টেশনের ৪ নম্বর প্লাটফর্মের পাশের অটো স্ট্যান্ডের অটো ড্রাইভারদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন। ভোটের জন্য আশীর্বাদ চান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন