“একজন আদিবাসী কিভাবে বিশ্বাসঘাতক হতে পারে?” প্রশ্ন তুললেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী ও জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। বৃহস্পতিবার এক এক্স বার্তায় (পূর্বতন ট্যুইটার) তিনি আরও বলেন, “আদিবাসী সম্প্রদায়, যারা সর্বপ্রথম ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিল এবং কখনও ব্রিটিশদের সামনে মাথা নত করেনি, তাদের দেশদ্রোহী ঘোষণা করা হয়েছে।”
এদিনের বার্তায় জেএমএম নেতা আরও বলেন, “এগারো হাজার - হ্যাঁ, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে এগারো হাজারের বেশি। পুরো গ্রামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিজেপি আমাদের সাথে যা করেছে বৃটিশরা কখনই আদিবাসী, মূল বাসিন্দাদের ওপর সেরকম অত্যাচার করেনি।”
হেমন্ত সোরেন ওই বার্তায় লিখেছেন, “- খুন্তিতে বিজেপি প্রতিটি গ্রামকে বিশ্বাসঘাতক বানিয়েছে এবং স্থানীয় বিধায়ক এর বিরুদ্ধে কিছুই করেননি।”
হেমন্ত তাঁর এক্স বার্তায় লেখেন, “এই ভারতীয় জনতা পার্টি আজ ক্ষমতায় থাকলে আমাদের আদিবাসী ভাইরা এখনও জেলে থাকত। আমরা সরকার গঠনের পর প্রথমেই পথলগড়ির সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করেছি। আমরা সিএনটি এসপিডির সব মামলা ফেরত দেওয়ার জন্য কাজ করেছি।”
নিজের বার্তায় হেমন্ত সোরেন অভিযোগ করেন, “এখানকার মুন্ডাকে গুলি করা হয়েছে। আমরা তাদের পরিবারকে চাকরি দেওয়ার জন্য কাজ করেছি যাতে তারা তাদের জীবিকা অর্জন করতে পারে। আমাদের যে কোনো মূল্যে আমাদের সাধারণ মানুষকে বিজেপির হাত থেকে বাঁচাতে হবে এবং আমাদের বাড়িঘর, পরিবার এবং আত্মীয়দেরও রক্ষা করতে হবে।”
নিজের বার্তায় ঝাড়খন্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “এই নির্বাচন শুধুমাত্র আদিবাসী/মূল নিবাসী এবং পিছিয়ে পড়া মানুষকে বিজেপির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য নয়। এই নির্বাচন আমাদের রাজ্য, আমাদের মাটি এবং আমাদের পরিচয়কেও বাঁচানোর জন্য।”
ঝাড়খন্ডের খুন্তি (তফশিলি উপজাতি) কেন্দ্রে ২০০০ সাল থেকে একটানা বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান বিধায়ক বিজেপির নীলকান্ত সিং মুন্ডা। ২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী মুন্ডা জেএমএম প্রার্থীকে পরাজিত করেন ২৬,৩২৭ ভোটে এবং ২০১৪ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জেএমএম প্রার্থীকে পরাজিত করেন ২১,৫১৫ ভোটে।
আগামী ১৩ নভেম্বর খুন্তি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। এই কেন্দ্র থেকে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান বিধায়ক নীলকান্ত সিং মুন্ডা। এই কেন্দ্রে জেএমএম প্রার্থী রামসূর্য মুন্ডা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন