কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তার (Jagadish Shettar) ও প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাভাদি (Lakshman Savadi)-র যোগদানের ফলে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ১৫০ টি আসন জিতবে কংগ্রেস। মঙ্গলবার, এমনই দাবি করেছেন কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডি. কে. শিবকুমার (D. K. Shivakumar)।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য কংগ্রেস প্রধান শিবকুমার বলেন, রাজ্যের বীরশৈব (Veerashaiva) ও লিঙ্গায়েত (Lingayat) সম্প্রদায়ের মানুষেরা কংগ্রেসের সাথেই থাকবেন। আমরা সমীক্ষায় ১৪১ টি আসনের অনুমান করেছিলাম। এখন, শেত্তার এবং সাভাদির যোগদানের সাথে ১৫০-তে পৌঁছাব আমরা।’
তিনি বলেন, ‘এই দুই নেতার যোগদানের পর, লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ে কংগ্রেসের ভোটের ভাগ বেড়েছে দুই থেকে তিন শতাংশ। সমস্ত বিজেপি নেতা, যারা কংগ্রেসের আদর্শের সঙ্গে একমত, তাদেরকে আমি দলে যোগদানের জন্য খোলা আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আসুন আপনারা, কর্ণাটককে বাঁচাতে একজোট হয়ে হাত বাড়িয়ে দিন। আসুন, সবকিছুতে পরিবর্তন আনি।’
শিবকুমার দাবি করেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে এবং হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা ইডি (ED) এবং আয়কর বিভাগ (IT)-কে ভয় পাই না। এই নির্বাচনে আমরা তাদের একটি পাঠ শেখাতে যাচ্ছি। শুধু কংগ্রেস দলের প্রার্থীরাই লক্ষ্যবস্তু নয়, যে সব শিল্পপতিরা আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে, তাঁদের উপরেও অভিযান চালানো হচ্ছে। কেউ আমাদের সঙ্গে ফোনে কথা বললেই, তাঁদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসকে সমর্থন না জানানোর জন্য মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষও আমাদের প্রকাশ্যে সমর্থন করতে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু, বিজেপি নেতারা সরল ও সৎ এটাও কেউ বিশ্বাস করছে না।’
২০১৮ সালের নির্বাচনে মোট ১০৪ টি আসনে জিতেছিল বিজেপি (BJP)। আর, কংগ্রেস পেয়েছিল ৮০ টি আসন, জোটসঙ্গী জনতা দল (সেকুলার) দখল করেছিল ৩৭ টি আসন। কিন্তু, এবারের নির্বাচনে পৃথক ভাবে লড়াই করছে কংগ্রেস ও জনতা দল (সেকুলার)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন