টিকিট না পেয়ে দল ছাড়লেন কর্ণাটকের আরও এক বিজেপি বিধায়ক। বিজেপির দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকাতে নাম ছিল না মুদিগেরে আসনের বিজেপি বিধায়ক কুমারস্বামীর। আজ দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
আগামী ১০ মে কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন। মঙ্গলবার দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ১৮৯ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। বুধবার রাতে দ্বিতীয় দফায় ২৩ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি। দুই তালিকাতেই একাধিক বর্তমান বিধায়ককে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস ছেড়ে আসা নেতাদের। দ্বিতীয় তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে মুদিগেরের বিধায়ক সহ ৭ বিধায়ককে । এর জেরে ক্ষোভ বাড়ছে বিধায়ক ও তাঁদের অনুগামীদের মধ্যে।
দলের রাজ্য সভাপতি নলিন কুমার কাতিলকে দেওয়া নিজের ইস্তফাপত্রে কুমারস্বামী জানিয়েছেন, “দলের এই সিদ্ধান্তে আমি অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছি। তাই আমি দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করছি।"
এই নিয়ে নিজের ফেসবুকেও সরব হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, “আমি কখনও উন্নয়নের সাথে আপোষ করিনি। সমস্ত বর্ণ ও ধর্মের লোকদের সাথে একই আচরণ করেছি। এটাই বিজেপি হাইকমান্ড ভুলভাবে নিয়েছে। আমি খুব আশ্চর্য হয়েছি যে ফসলের ক্ষতির জন্য কৃষকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিধান সৌধের সামনে আমি যে প্রতিবাদ দেখিয়েছিলাম, সেটিও ভুলভাবে নেওয়া হয়েছে।“
কুমারস্বামীকে প্রার্থী তালিকার রিজার্ভ আসনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় দল তাঁর পরিবর্তে দীপক দোদ্দাইয়াকে প্রার্থী করেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমারস্বামীর পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নয় বিজেপি। তাই তাঁর টিকিট প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। হাতির আক্রমণে এক মহিলার মৃত্যুর পর উত্তেজিত স্থানীয়রা তাড়া করে মারধর করেছিলেন কুমারস্বামীকে। এরপর সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে।
চেক জালিয়াতির আটটি মামলায় কুমারস্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারী মাসে অভিযোগকারীকে ১.২৩ কোটি টাকা দেওয়ার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
দু’দফায় মোট ২১২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। এই তালিকায় যে বর্তমান বিধায়কদের বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা; প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তর; প্রাক্তন দুই উপমুখ্যমন্ত্রী কে এশ্বরাপ্প ও লক্ষ্মণ সদাভি; মন্ত্রী এস অঙ্গারা ও আনন্দ সিংহ। এখনও ১২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। সেই জায়গায় এঁদের কাউকে প্রার্থী করা হয় কিনা সেই দিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন