১৩মে শনিবার কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা। এখনও পর্যন্ত একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই কংগ্রেসকে এগিয়ে রাখা হলেও কিছু কিছু সমীক্ষা অনুসারে কর্ণাটকে ত্রিশঙ্কু হবার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে শর্তাধীনে বিজেপি অথবা কংগ্রেস - যে কোনো জোটেই যেতে পারেন জেডিএস নেতা ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। শুক্রবার তিনি একথা জানিয়েছেন।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে যে ১০টি বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল জানা গেছে তাঁর ৭টিতেই কংগ্রেসকে সম্ভাব্য একক বৃহত্তম দল হিসেবে দেখানো হলেও বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা।
এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে এইচ ডি কুমারস্বামী জানিয়েছেন, আমি এখনও ৫০টি আসনে জয়ী হবার বিষয়ে আশাবাদী। আমি এবার সেই দলের সঙ্গেই জোটে যাবো যারা আমার শর্ত পুরো মেনে নেবে।
উল্লেখ্য, এর আগে দু’বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের দায়িত্ব সামলেছেন এইচ ডি কুমারস্বামী। প্রথমবার ২০০৬ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট করে এবং দ্বিতীয়বার ২০১৮ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে। যদিও কোনোবারেই তিনি পূর্ণ মেয়াদ ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। এবার কুমারস্বামী স্পষ্টই জানিয়েছেন, কোনো জোটে যোগ দেবার আগে সেই দলকে তাঁর শর্তে সহমত হতে হবে।
জানা যাচ্ছে, কুমারস্বামীর প্রধান শর্ত, তাঁকে সরকার চালাতে নিজের মত কাজ করতে দিতে হবে। বিশেষ করে কুমারস্বামী জেডিএস-এর জন্য জলসম্পদ, বিদ্যুৎ এবং পিডব্লুইডি-র মত দপ্তর চান। এছাড়াও জেডিএস যা যা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা তাঁকে পালন করতে দিতে হবে।
কুমারস্বামী আরও জানিয়েছেন, তিনি জোটের ক্ষেত্রে কোনো সমন্বয় কমিটি চান না। ২০১৮ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সময় সমন্বয় কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। জেডিএস নেতা আরও চান, জেডিএস-এর শক্ত ঘাঁটি মান্ডিয়া এবং হাসানে তাঁর একচ্ছত্র আধিপত্য থাকবে। মতাদর্শগত কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে তার জন্য জোটসঙ্গীদের মধ্যে আগে আলোচনা করতে হবে।
যদিও সূত্র অনুসারে ফলাফল পরবর্তী সময়ে জেডিএস কার সঙ্গে জোটে যাবে সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলের জাতীয় সভাপতি এইচ ডি দেবেগৌড়া।
অতীতে ২০০৪, ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনী ফলাফল অনুসারে কর্ণাটক বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন