২০১৯ থেকে কর্ণাটকে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এই সময়কালে, বিজেপি মন্ত্রীদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৩ থেকে ৮ গুন। গত ৪ বছরে, বিজেপি মন্ত্রীদের উত্থানের এই চিত্র উঠে এসেছে, তাঁদেরই দেওয়া হলফনামায়।
আগামী ১০ মে, কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজেদের হলফনামা জমা দিয়েছেন বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা। তাতে, জানা গেছে, কর্ণাটকে বাসভরাজ বোম্বাই সরকারের আমলে পাঁচজন মন্ত্রী ও তাঁদের স্ত্রীদের সম্পদ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
যে মন্ত্রীদের সম্পদের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, তাঁরা হলেন -
১) চিকিৎসা বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী কে সুধাকর (K Sudhakar);
২) বিদ্যুৎ মন্ত্রী ভি সুনীল কুমার (V Sunil Kumar);
৩) পূর্ত মন্ত্রী সি সি পাতিল (C C Patil);
৪) সমবায় প্রতিমন্ত্রী এসটি সোমশেখর (ST Somashekhar); এবং
৫) শিল্পমন্ত্রী মুরুগেশ নিরানি (Murugesh Nirani)
রাজ্য নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সাল চিক্কাবল্লাপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন কে সুধাকর। এসময় তাঁর স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। এরপর, ২০১৯ সালে ‘অপারেশন লোটাস’-এ বিজেপিতে চলে যান তিনি। পুরস্কার হিসাবে রাজ্যের চিকিৎসা বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পূর্ণমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পান তিনি।
কেটে গিয়েছে চার-চারটি বছর। আর, সম্পদ বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে তাঁর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ২.৭৯ কোটি টাকা। স্থাবর সম্পদের পরিমাণ প্রায় একই রয়েছে।
শুধু তাই নয়, সুধাকরের স্ত্রী ডাঃ প্রীতি জিএ- র স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ১৭ লক্ষ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬ কোটি ১ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে, সদাশিবনগরে ১৪ কোটি ৯২ লক্ষ টাকায় কেনা একটি বাড়ি।
২০১৯ সালে ‘অপারেশন লোটাস’-এ কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে চলে আসা আরেক মন্ত্রী হলেন - রাজ্যের সমবায় প্রতিমন্ত্রী এসটি সোমশেখর। ২০১৮ সালে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার সময় তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬৭ হাজার ৮৩ লক্ষ টাকা। আর, বিজেপিতে আসার পর, গত ৪ বছরে তাঁর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, তাঁর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৮ গুন।
অন্যদিকে, রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী ভি সুনীল কুমার কুমারের অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৩ গুন। ২০১৮ সালের তাঁর কাছে অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ৫৩ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা। একই সময়ে স্থাবর সম্পত্তি ১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা থেকে আড়াই গুণ বেড়ে হয়েছে ৪ কোটি ৩ হাজার টাকা।
শিল্পমন্ত্রী মুরুগেশ নিরানির অস্থাবর সম্পদ ১৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৭ কোটি ২২ লক্ষ টাজা। আর, গত পাঁচ বছরে তাঁর স্থাবর সম্পদ ৪ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। একইসঙ্গে, তাঁর স্ত্রী কমলা নিরানির নামে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১১ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৮ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা।
পূর্ত মন্ত্রী সি সি পাতিলের অস্থাবর সম্পত্তি ২০১৮ সালে ছিল ৯৪ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে তা হয়েছে ৩ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা। একইভাবে, তাঁর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ কোটি ২ লক্ষ টাকা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন