কংগ্রেসে যোগ দিয়েই নিজের পুরানো দল বিজেপিকে নিশানা করেছেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তার (Jagadish Shettar)। তিনি দাবি করেছেন, কর্ণাটকে বিজেপি চালাচ্ছেন মুষ্টিমেয় কয়েকজন নেতা। তাঁদের কথায় যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
এক্ষেত্রে, বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বি.এল. সন্তোষ (B.L. Santhosh)-কে সরাসরি নিশানা করেছেন তিনি। কংগ্রেসে যোগ দিয়েই নির্বাচনের টিকিট পাওয়ার পর শেত্তার বলেন, 'বিএল সন্তোষকে অন্যান্য রাজ্যের নির্বাচনের ইনচার্জ করা হয়েছিল... কোথাও বিজেপি জিততে পারেনি। তা সত্ত্বেও, তাকে কর্ণাটকের ইনচার্জ করা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র রাজ্যে (কর্ণাটকে) দলকে নষ্ট করার জন্য করা হচ্ছে।'
অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, 'বিজেপিতে বলা হয় ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু, একজন ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং তিনি সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। যারা তাঁর গ্রুপে নেই, তাঁদেরকে নির্মমভাবে বিপাকে ফেলবেন বিএল সন্তোষ। তাঁর অনুগামী মহেশ টেঙ্গিনাকায়ীকে বিজেপির টিকিট দেওয়া হয়েছে, তাও আবার আমার নির্বাচনী এলাকার। তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য করা যেতে পারত... কিন্তু তাঁকে টিকিট দেওয়ার জন্য, আমাকে অপমানিত করে বের করে দিয়েছেন সন্তোষ।'
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তার দাবি করেন, 'রাজ্যে বিজেপিকে শেষ করার ষড়যন্ত্র চলছে। এমনকি প্রবীণ নেতা বি এস ইয়েদিউরাপ্পাও অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। সমস্ত জেলা দপ্তরে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। রাজ্য সভাপতি নলিন কুমার কাটেল সন্তোষের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তাঁর নির্দেশ অনুসারেই কাজ করছেন কাটেল।'
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'একের পর এক নেতাদের হারাচ্ছে বিজেপি এবং তারা ক্ষমতায় আসতে চায় কিনা তা নিশ্চিত নয়।'
বিএল সন্তোষের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে এদিন শেত্তার জানান, তাঁর (বিএল সন্তোষের) মনোভাবের কারণেই লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের লোকেরা বিরক্ত। তিনি সরাসরি বলেন, 'কর্নাটকের সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে যা ঘটছে, তা দেখার পর লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের লোকেরা বিরক্ত, এবং তাঁর (বিএল সন্তোষ) মনোভাবের কারণেই এটা হচ্ছে। এটা দলের পুরো ব্যবস্থাপনাকে প্রভাবিত করছে।'
বিজেপিতে টিকিট না পেয়ে গত ১৭ এপ্রিল, কংগ্রেসে যোগ দেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তার।
কংগ্রেসে যোগদানের পর শেত্তার বলেন, 'একজন সিনিয়র নেতা হিসাবে আমি ভেবেছিলাম, বিজেপি আমাকে টিকিট দেবে। কিন্তু যখন আমি জানলাম যে আমি টিকিট পাচ্ছি না, আমি খুব হতবাক হয়েছিলাম। কেউ আমার সাথে কথা বলেনি বা বোঝানোর চেষ্টাও করেনি। আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছিল।'
সেদিন তিনি বলেন, 'আমি যে দলটি তৈরি করেছি, সেখান থেকে জোর করে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি কংগ্রেসের আদর্শ ও নীতি মেনে নিয়ে এই দলে যোগ দিচ্ছি।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন