প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নির্বাচনী প্রচার থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানালেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট। বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তীব্র আক্রমণ করে শনিবার সন্ধ্যায় গেহলট এই দাবি জানান।
গতকাল নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গেহলট বলেন, “যদি কেউ সাম্প্রদায়িক সুরে কথা বলেন, তাহলে আইনানুসারে তাঁর প্রচার নিষিদ্ধ করা উচিৎ। নির্বাচন কমিশনের উচিৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা।”
গেহলট বলেন, একবার ভৈরো সিং শেখাওয়াত গঙ্গানগর এবং বালি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি গঙ্গানগরে হেরে গেলেও বালি কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। সেবার তিনি নির্বাচনী প্রচারে হঠাতই রামমন্দির নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে পিটিশন দাখিল করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘সেবার যথেষ্ট প্রত্যক্ষদর্শী না থাকার কারণে শেখাওয়াত বেঁচে গেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে ধর্মের ভিত্তিতে প্রচার করছেন। নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত তাঁর কাছ থেকে কোনো জবাবদিহি চায়নি। শুধু এই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “মল্লিকার্জুন খাড়গেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেই বিষয়ে কিছুই বলেননি। সেই হুমকির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরেও নির্বাচন কমিশন কোনো কথা বলেনি। বিজেপি এবং আরএসএস-এর এজেন্ডা তৈরি করা আছে। তারা কারোর পরোয়া করেনা। কিন্তু সাধারণ মানুষের এতে যায় আসে। এখন গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে।”
কর্ণাটকে ক্ষমতায় ফিরলে বজরঙ দলকে নিষিদ্ধ করার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন অনেক সংগঠন রাম, শিবাজীর নাম ব্যবহার করছে। কিন্তু এই সব সংগঠনের ভূমিকা কী? প্রবীণ তোগাড়িয়া ত্রিশূল বিতরণ করছিলেন। আমরা তাঁকে বারণ করি। কিন্তু তিনি তা শোনেননি। এরপর আমরা বাধ্য হই তাঁকে গ্রেপ্তার করতে। এই সবকিছুই নির্ভর করে কোন সংগঠনের কী উদ্দেশ্য তার ওপর। আসলে বজরঙ দলের ইস্যু কর্ণাটকের জন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। তাই বিজেপি নেতারা বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন