নির্বাচনের মুখে কর্ণাটকে বেজায় চাপে বিজেপি (BJP)।
প্রথাগতভাবে যে লিঙ্গায়েত সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে বিজেপিকে সমর্থন দিয়ে এসেছে, তাঁরাই এবার সরাসরি সমর্থন দিচ্ছে কংগ্রেসকে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি কোনও রাখঢাক না রেখে, খোলা চিঠি দিয়ে কংগ্রেসকে সমর্থন জানিয়েছে বীরশৈব লিঙ্গায়েত ফোরাম (The Veerashaiva Lingayat forum)!
একইসঙ্গে, বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের সদস্যদের কাছে আহ্বান জানিয়েছে ফোরাম।
১৯৮০ সাল থেকে লিঙ্গায়েতদের সবথেকে প্রভাবশালী নেতা হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বি. এস. ইয়েদুরপ্পা (B.S. Yediyurappa)। তাঁর মতো নেতাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো এবং দলে কোণঠাসা করার পর থেকে বিজেপির উপর ক্ষিপ্ত হন লিঙ্গায়েত ধর্মগুরুরা।
কয়েকদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন কর্ণাটকের অপর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার (Jagadish Shettar)। যিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার পরে রাজ্য রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত মুখ। আসন্ন নির্বাচনে তাঁকে (হুব্বালি জেলা থেকে) টিকিট না দেওয়ায়, বিজেপি’র বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়।
এজন্য, বিজেপির কেন্দ্রীয় সংগঠন সম্পাদক ও ব্রাহ্মণ নেতা বি. এল সন্তোষ (B. L. Santhosh )-এর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন জগদীশ শেট্টার। তিনি অভিযোগ করেছেন, পদ্ধতিগতভাবে বিজেপির মধ্যে লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের প্রভাব কমানোর চেষ্টা করছেন বি. এল সন্তোষ।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই, লিঙ্গায়েত মঠের প্রধানদের সাথে দেখা করেন কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতারা। যাঁদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেসের প্রবীণ লিঙ্গায়েত নেতা ও অখিলা ভারতীয়া বীরশৈব মহাসভার সভাপতি শামানুর শিবশঙ্করপ্পা, জগদীশ শেট্টার এবং এমবি পাটিল।
এছাড়া, গত সপ্তাহে সঙ্গমন্থা মন্দির পরিদর্শন করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তারই প্রভাব এদিন দেখা গেছে বীরশৈব লিঙ্গায়েত ফোরামের খোলা চিঠিতে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন