কর্ণাটকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কালে এক বৃদ্ধ মহিলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। দেখা যায়, রাহুলের সঙ্গে কথোপকথনের সময় শশা হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি (বৃদ্ধ মহিলা)।
রাহুল গান্ধীকে ওই মহিলা জানান, ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি এক ফালি জমি পেয়েছিলেন। সেসময়, 'ল্যান্ড টু দ্য টিলার নীতি' প্রয়োগ করে গরীবদের জমি প্রদান করেছিল কর্ণাটক সরকার। সেই জমিকেই অবলম্বন করে এখন বেঁচে আছেন ওই বৃদ্ধ মহিলা।
জমিদারদের কাছ থেকে জমি নিয়ে তা দরিদ্র কৃষকদের পাট্টা দিয়েছিলেন কর্ণাটকের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডি দেবরাজ উরস (Chief Minister D Devaraj Urs)।
কংগ্রেস সরকারের এই নীতির সুবিধা পেয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ গরীব মানুষ। তাঁরা এখন নিজেদের বাড়িতে ইন্দিরা গান্ধীর ছবি রাখেন। জমির মালিকানা পেয়ে নতুন জীবন শুরু করতে পেরে অনেকেই এখনও কংগ্রেস আমলের কথা স্মরণ করেন।
মানুষের মনে কংগ্রেসের অতীত গৌরব কথা ছড়িয়ে দিতে সফল হয়েছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। বর্তমানে যে যুবকেরা রাজ্যের অস্থির পরিস্থিতি লক্ষ্য করছে, তাঁরাই আবার পাঁচ দশক আগে রক্তপাতহীন সমাজ বিপ্লবের কথা জানছেন, তা নিয়ে গবেষণা করছেন।
কর্ণাটকের চামরাজানগর জেলা হয়ে রাজ্যে প্রবেশ করেছিল কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। তারপর এটি মাইসুরু, মান্ডা, তুমাকুরু এবং চিত্রদুর্গ জেলা হয়ে এখন বাল্লারি জেলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
আজ যাত্রাকালে রাহুল গান্ধী দাবী করেন, ২০২৩ সালে কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জয়লাভ করবে। রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই তাঁকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘একটি ছোট ছেলে নিজের ইচ্ছে মোতাবেক সিনিয়র নেতাদের নাচাচ্ছে, আর তাঁরাও নাচছে।’
বোম্মাইয়ের সুরে সুর মিলিয়েছেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা বি.এস. ইয়েদিউরপ্পা (B.S. Yediyurappa)। তিনিও রাহুল গান্ধীকেও ‘বাচ্চা’ বা শিশু বলে ডাকেন। কংগ্রেস যদিও বিজেপি নেতাদের এই মন্তব্যকে উপভোগই করেছে। ভারত জড়ো যাত্রা-কে বিজেপি ভয় পাচ্ছে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতারা।
এ দিনের যাত্রায় দেখা গিয়েছে কর্ণাটক রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমারকে। যিনি সম্প্রতি আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইডি তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন