কেরালার বিধায়কদের প্রতি রাজ্যের মানুষ সবথেকে কম ক্ষুব্ধ। সর্বশেষ IANS-CVoter অ্যান্টি-ইনকামবেন্সি ট্র্যাকার অনুসারে এই তথ্য সামনে এসেছে। অন্যদিকে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের মুখে থাকা হিমাচল প্রদেশের বিধায়করা সবচেয়ে বেশি সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছেন৷
IANS-CVoter অ্যান্টি-ইনকামবেন্সি ট্র্যাকার অনুসারে, মাত্র ২.৩ শতাংশ উত্তরদাতা কেরালার বিধায়কদের প্রতি ক্ষুব্ধ। বিহারের ক্ষেত্রে মাত্র ৪.৭ শতাংশ মানুষ বিধায়কদের প্রতি ক্ষুব্ধ। গুজরাটের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ৫.৭ শতাংশ। হরিয়ানার বিধায়করাও ওপর রাজ্যের ৬.৫ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, হিমাচল প্রদেশের ৩৩.২ শতাংশ মানুষ তাদের বিধায়কদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। হিমাচলের পরেই এই তালিকায় রয়েছে তেলেঙ্গানা। যেখানে ৩২.৯ শতাংশ, ছত্তিসগড়ে ৩০.৮ শতাংশে, ওডিশায় ২৯.১ শতাংশে এবং গোয়ায় ২০.৫ শতাংশ মানুষ তাদের বিধায়কদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷
গড়ে, ২৪.৬ শতাংশ ভারতীয় ভোটার তাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যেখানে তাদের বর্তমান বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ১১.২ শতাংশ। কিন্তু রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা রাজ্যগুলির পরিসংখ্যানে তাদের মধ্যে গভীর পার্থক্য দেখা গেছে। সি ভোটার দ্বারা সংকলিত ত্রৈমাসিক অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি সেন্টিমেন্ট এবং সূচকের উপর IANS-এর ডেটা বিশ্লেষণ করার সময় এই তথ্য সামনে এসেছে।
ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের ভোটাররা তাদের মতামত এবং অনুভূতিতে ভিন্ন হলেও, সাধারণ ভাবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কেন্দ্রীয় সরকারের চেয়ে অনেক বেশি। উদাহরণস্বরূপ, পাঞ্জাবের ৪৮.৪ শতাংশ উত্তরদাতা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ ছিলেন। বিপরীতে, তেলেঙ্গানার ভোটারদের ৬৬.৮ শতাংশ তাদের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যা সর্বাধিক।
আইএএনএস এবং সি ভোটার অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি সূচকের বিশ্লেষণের পরে যে তথ্য সামনে উঠে এসেছে তা থেকে হল আম আদমি পার্টির কৌশলবিদরা সন্তুষ্ট হতে পারেন। কারণ তাদের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সর্বনিম্ন স্তরের ক্ষোভ দিল্লিতে (২৮ শতাংশ) পরে পাঞ্জাব (৩২.৫ শতাংশ) দেখানো হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে দিল্লি (৬.৩ শতাংশ) এবং পাঞ্জাব (৯.৭ শতাংশ) রাজ্যগুলির মধ্যে দুই এবং তিন নম্বরে রয়েছে যেখানকার ভোটাররা তাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি সবচেয়ে কম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন