লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হতেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। বুধবার বিধানসভায় গিয়ে স্পীকারের কাছে নিজের ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। গৃহীত হয়েছে তাঁর ইস্তফা পত্র। ফলে বিধায়কহীন রায়গঞ্জে হবে উপ-নির্বাচন। পাশাপাশি, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী।
গত ১০ মার্চ ব্রিগেড মঞ্চে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। রায়গঞ্জ থেকে প্রার্থী করা হয় কৃষ্ণ কল্যাণীকে। সেদিনই তিনি জানিয়েছিলেন, বিধায়ক পদ ও পিএসি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি। বুধবার বিধানসভায় এসে স্পীকারের কাছে ইস্তফা পত্র জমা দেন কৃষ্ণ।
ইস্তফা দিয়ে বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণ বলেন, ‘‘রায়গঞ্জের মানুষের সাড়া পাচ্ছি। আশা করি, অনেক ভোটে জিতব। আমি আগামী ২ তারিখ তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেব। তার আগে সব পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি। আমি সাধারণ মানুষের কাছে এক জন সাধারণ মানুষ হিসাবেই ভোট চাইতে চাই।’’
পাশাপাশি, এদিন রায়গঞ্জের বিদায়ী সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। কৃষ্ণ এদিন জানান, ‘‘বিজেপির একটা অংশ সে সময়ে আমাকে হারানোর চেষ্টা করেছিল। দেবশ্রীও তাঁদের মধ্যে ছিলেন। সেটা পরে প্রমাণিতও হয়েছে। ওঁরা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করেছিলেন। তাই উনি এ বার ওখানে ভোটেও দাঁড়াননি।’’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রতীকে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থী হন কৃষ্ণ। বিধানসভা ভোটে জিতে বিধায়ক হন তিনি। তবেদ কয়েক মাসের মধ্যেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কৃষ্ণ। যদিও খাতায় কলমে তাঁকে বিরোধী দলের বিধায়ক দেখিয়েই ২০২২ সালের ২ জুলাই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদে তাঁকে নিয়োগ করেন স্পীকার। এতদিন সেই পদে ছিলেন কৃষ্ণ। তাঁকেই এবার রায়গঞ্জে প্রার্থী করেছে তৃণমূল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন