রাজ্যসভার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বদলে কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দিলেন কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়ক এস টি সোমশেখর। সংবাদসংস্থা আইএএনএস একথা জানিয়েছে।
মঙ্গলবার কর্ণাটকের চার রাজ্যসভা আসনের ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন বেঙ্গালুরুর যশবন্তপুরের বিজেপি বিধায়ক এস টি সোমশেখর। ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'যাঁরা প্রতিশ্রুতি রেখেছেন তাঁদেরকেই আমি ভোট দিয়েছি। আমাকে যিনি আশ্বাস দিয়েছেন তাঁকেই দিলাম ভোট'।
তিনি বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন কিনা? এই প্রশ্নের কোনো স্পষ্ট উত্তর দেননি বিজেপি বিধায়ক। সূত্রের খবর, সোমশেখর বিজেপির বদলে কংগ্রেসের প্রার্থী জি সি চন্দ্রশেখরকে ভোট দিয়েছেন।
বিজেপি সূত্রে খবর, ক্রস ভোট দিয়েছেন সোমশেখর। বিজেপির দুই পোলিং এজেন্ট অরবিন্দ বেল্লাদ এবং ভি সুনীল কুমার বিরোধী দলনেতা আর অশোকা এবং রাজ্য সভাপতি বি ওয়াই বিজয়েন্দ্রকে বিষয়টি জানিয়েছেন। দল এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে কথা বলে সোমশেখরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে বলেই খবর।
বিজেপি বিধায়কের ক্রস ভোটিং নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী বলেন, সোমশেখর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন নিজের এলাকার উন্নয়নের জন্য। কিন্তু পরে দেখা গেলো ৩ বছর ধরে মন্ত্রী থেকে শুধু নিজের উন্নতিই করেছেন।
পাল্টা এইচ ডি কুমারস্বামীকে সুবিদাবাদী বলে আক্রমণ করেছেন সোমশেখর। তিনি বলেন, কংগ্রেসের সাথে হাত মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কুমারস্বামী। তখন তিনি সুবিদাবাদী ছিলেন না?
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সোমশেখর। সেই সময় মন্ত্রীও হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই বিজেপির থেকে দূরত্ব বজায় রাখছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ ছিল দলীয় নেতারাই পরিকল্পনা করে তাঁকে দূরে ঠেলে দিচ্ছেন।
এর আগে কর্ণাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার বলেছিলেন তাঁর সাথে সোমশেখরের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। বহু বছর ধরেই এই সম্পর্ক বজায় রেখেছেন তাঁরা। এমনকি সোমশেখর ডি কে শিবকুমারকে রাজনৈতিক গুরু বলেও সম্বোধন করেছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন