কর্ণাটকে (Karnataka) বিজেপি’র লোটাস অপারেশন রুখতে সবরকম সতর্কতা নিচ্ছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, ভোট গণনার আগেই দলীয় প্রার্থীদের বেঙ্গালুরুতে পৌঁছানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের এক জায়গায় থাকার নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে।
রাত পেরোলেই শুরু হবে ভোট গণনা। সামনে আসবে নির্বাচনী ফলাফল। কিন্তু, তার আগে কর্ণাটকে নির্বাচনী সমীক্ষায় এগিয়ে রাখা হয়েছে কংগ্রেসকে। বিজেপিকেও রাখা হয়েছে কংগ্রেসের খুবই কাছাকাছি। আর, তা নিয়ে কিছুটা আতঙ্কে রয়েছে কংগ্রেস শিবির।
কারণ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজেপির দখলে ছিল ১০৪ আসন। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ২০১৯ সালে ‘অপারেশন লোটাস’ চালিয়ে কংগ্রেস-আরজেডি জোট সরকার ভেঙে দেয় বিজেপি। কংগ্রেস ও আরজেডি’র জয়ী প্রার্থীদের বিজেপিতে এনে নতুন সরকার গঠন করেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। পরে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ বলদ হলেও, ২০২৩ সাল নাগাদ সরকারে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে, বিজেপি ও কংগ্রেস- উভয় শিবিরই দাবি করেছে- তাঁরাই এবার নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছে। আবার, দুই দলই নিজেদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না। তাই, দলীয় প্রার্থীদের রক্ষা করার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে দুই শিবিরই।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে, সমস্ত দলীয় প্রার্থীদের সাথে ভার্চুয়াল মিটিং করেছেন কর্ণাটক কংগ্রেস সভাপতি ডি. কে. শিবকুমার, রাজ্যের ইনচার্জ রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া। কীভাবে তাঁরা বিজেপি’র অপারেশন লোটাস থেকে বাঁচবেন, সেই নির্দেশিকা দিয়েছেন তাঁরা।
জানা যাচ্ছে, কর্ণাটক কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা মিটিংয়ে দলীর প্রার্থীদের জানিয়েছে, এবার সরকার গঠনের সুযোগ পেতে চলেছে কংগ্রেস, তাই তাঁদের কোনও প্রলোভনে পা দেওয়া উচিত নয়। এ জন্য, সম্ভব্য সকল জয়ী প্রার্থীদের শীঘ্রই বেঙ্গালুরু পৌঁছাতে বলা হয়েছে। এবং সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের একটি নির্দিষ্ট স্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন