গত ১০ বছরে ৯০ শতাংশেরও বেশি নির্বাচন হেরেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের নেতৃত্ব কোনও এক ব্যক্তির ঈশ্বর প্রদত্ত অধিকার নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবে সরাসরি কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব বাছার দাবিও তুলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত গতকাল সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করেছিলেন।
ট্যুইটারে প্রশান্ত কিশোর লেখেন, "কংগ্রেস যে মতাদর্শ এবং স্পেসের প্রতিনিধিত্ব করে, তা একটি শক্তিশালী বিরোধীর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু কংগ্রেসের নেতৃত্ব কোনও এক ব্যক্তির ঈশ্বর প্রদত্ত অধিকার নয়, বিশেষকরে যখন গত ১০ বছরে ৯০ শতাংশের বেশি নির্বাচন হেরেছে দলটি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিরোধী নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।"
বিরোধী জোটের উদ্দেশ্যে গত দু-দিন মুম্বাইয়ে ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করেন তিনি। শিল্পপতিদের সাথে বৈঠকে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "কেউ যদি কিছু না করে, বছরের অর্ধেক সময় বিদেশে গিয়ে বসে থাকেন, তাহলে রাজনীতিটা করবেন কীভাবে? বাকিরা কেন বিজেপির টিআরপি বাড়তে দেবেন?? রাজনীতিতে সবসময় চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত।"
এরপর এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সাথে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলে, ইউপিএ জোট কী? এই জোটের কোনো অস্তিত্ব নেই এখন। কেউ যদি লড়তে না চায় কী করবো? নিজেদেরই লড়তে হবে।
এর আগেও একাধিকবার পৃথক পৃথক ভাবে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর। সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে সনিয়া গান্ধীর সাথে দেখা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শীতকালীন অধিবেশনের আগে বিরোধী দলগুলোর ডাকা বৈঠকেও যোগ দেয়নি তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে প্রশান্ত কিশোরের এই ট্যুইট জাতীয় রাজনীতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন