ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দার আপ্তসহায়কের বাড়িতে পুলিশি তল্লাশির প্রতিবাদে সেখানে গিয়ে ধর্নায় বসেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গাঙ্গুলি। তাঁর আরও অভিযোগ, ময়না পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা গৌতম গুরু ‘মিসিং’ রয়েছেন। গৌতমের স্ত্রীর কাছ থেকে এই অভিযোগ পেয়েছেন তিনি।
কেশপুর এলাকায় আবার নির্বাচনের দাবি তুললেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চ্যাটার্জি। তৃণমূল প্রার্থী দেবকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "‘ভোট কোথায় হল! এখানে তো পাগলু ডান্স হয়েছে। আগুন জ্বালিয়ে লাঠি নিয়ে পাগলুরা (পড়ুন তৃণমূল কর্মী) ডান্স করেছে।’’ নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে ঘাটালে দুপুর ৩টের মধ্যে ৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
গড়বেতায় বিক্ষোভের মুখে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু। গ্রামবাসীরা তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে আহত হয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান। প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে এলাকা ছেড়েছেন বিজেপি প্রার্থী।
সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা না থাকলে প্রাণের আশঙ্কা ছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি ওই এলাকায় অশান্তি করছে। যদিও বিজেপির অভিযোগ তাদের প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়েছে। লাঠি, বাঁশ নিয়ে বিজেপি প্রার্থীর দিকে তেড়ে গেছেন মহিলারা।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে বেলা ১টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ভোট পড়েছে ৩৯.১৩%। ভোটদানের হারে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। যেখানে ভোট পড়েছে ৫৪.৮০ শতাংশ। সবথেকে কম ভোট পড়েছে দিল্লীতে ৩৪.৩৭ শতাংশ। এছাড়া ঝাড়খন্ডে ৪২.৫৪ শতাংশ, বিহারে ৩৬.৪৮ শতাংশ, হরিয়ানায় ৩৬.৪৮ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৫.২২ শতাংশ, ঝাড়খন্ডে ৪২.৫৪ শতাংশ, ওড়িশায় ৩৫.৬৯ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশ ৩৭.২৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজ্যে ভোট পড়েছে ৫৪.৮০ শতাংশ। নির্বাচন কমিশনের ভোটার টার্ন আউট অ্যাপ অনুসারে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি ভোট পড়েছে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে। ৫৮.৬৪ শতাংশ। এরপরেই আছে তমলুক। যেখানে ভোট পড়েছে ৫৭.৬৪ শতাংশ। ঘাটালে ভোট পড়েছে ৫৭.৩১ শতাংশ, কাঁথিতে ৫১.৬৬%, ঝাড়গ্রামে ৫৬.৯৫%, মেদিনীপুরে ৫১.৫৭%, পুরুলিয়ায় ৫০.৩৪%, বাঁকুড়ায় ৫৪.২১%।
নন্দীগ্রামে ছাপ্পা ভোট সংক্রান্ত তৃণমূলের করা পোষ্ট সঠিক নয় বলে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছাপ্পা ভোট দেওয়া হচ্ছে বলে যে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে পোষ্ট করা হয়েছে তা সঠিক নয়। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক একথা জানিয়েছেন। কিছুক্ষণ আগেই তৃণমূলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে এই ভিডিও পোষ্ট করা হয়েছিল।
নন্দীগ্রামে অবাধে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে বিজেপি, এমনটাই অভিযোগ আনা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন ট্যুইটার) এক ভিডিয়ো পোস্ট করে এই অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার। তৃণমূলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তৃণমূলের পোষ্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে ইভিএম-এর সামনে একসঙ্গে বহু মানুষ জড়ো হয়ে আছেন।
নন্দীগ্রামে নির্দ্বিধায় ছাপ্পা! An outright ELECTORAL FRAUD!
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) May 25, 2024
This is the @SuvenduWB model of conducting elections – rigging votes when they can't win people's mandate!
Where are the Central Forces now and @ECISVEEP now? pic.twitter.com/CN3e5VJ9Ug
রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে চন্দ্রকোনা মেদিনীপুর রাজ্য সড়কে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণকে আটকানোর চেষ্টা করে উত্তেজিত জনতা। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। বিজেপির আরও অভিযোগ স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার নেতৃত্ব এই বিক্ষোভ সংগঠিত হয়। কেশপুর এর ৫ নং অঞ্চলের মুগবাসন-এর কাছের রাস্তার ঘটনা।
অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফায় দেশের ৮ রাজ্যে সকাল ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২৫.৭৬ শতাংশ। যার মধ্যে সবথেকে কম ভোট পড়েছে ২১.৩০ শতাংশ। নির্বাচন কমিশনের ভোটার টার্ন আউট অ্যাপ-এর তথ্য অনুসারে বিহারে ভোট পড়েছে ২৩.৬৭ শতাংশ। হরিয়ানায় ২২.০৯ শতাংশ। জম্মু ও কাশ্মীরে ২৩.১১ শতাংশ। ঝাড়খন্ডে ২৭.৮০ শতাংশ। দিল্লীতে ২১.৬৯ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশে ২৭.০৬ শতাংশ এবং পশ্চিমবঙ্গে ৩৬.৮৮ শতাংশ।
তমলুক লোকসভার অন্তর্গত মহিষাদল বিধানসভার ২১৮ নাম্বার বুথের CPIM পোলিং এজেন্টকে পোলিং বুথ থেকে বার করে দেয় সেক্টর অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসার। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছান তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের জাতীয় কংগ্রেস সমর্থিত বামফ্রন্ট মনোনীত CPIM প্রার্থী সায়ন ব্যানার্জী। ওই বুথে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসার এবং সেক্টর অফিসারের কাছে জানতে চান কেন সিপিআইএম এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। এরপর CPIM এর পোলিং এজেন্টকে তিনি বুথে বসান।
সকাল ১১টা পর্যন্ত বাঁকুড়ায় ভোট পড়েছে ৩৫.৮৪ শতাংশ, বিষ্ণুপুরে ৩৭.৯৮ শতাংশ, ঘাটালে ৩৯.২১ শতাংশ, ঝাড়গ্রামে ৩৮.২৪ শতাংশ, কাথিতে ৩৮.০৩ শতাংশ, মেদিনীপুরে ৩৪.৪১ শতাংশ, পুরুলিয়াতে ৩৩.১৬ শতাংশ, তমলুকে ৩৮.০৫ শতাংশ।
তমলুক লোকসভার অন্তর্গত হলদিয়া বিধানসভার ১৫২, ১৫৩ নাম্বার বুথ পরিদর্শনে যান তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের জাতীয় কংগ্রেস সমর্থিত বামফ্রন্ট মনোনীত CPIM প্রার্থী বিশিষ্ট আইনজীবী সায়ন ব্যানার্জী। বাম প্রার্থীকে দেখে তৃণমূল কংগ্রেস তথা শাসক দলের কর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দেয় ও বিক্ষোভ দেখায়। সঙ্গে সঙ্গে বাহিনীকে এই বিষয়ে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এখানে রাজনৈতিক শ্লোগান দেওয়া হচ্ছে।
দিল্লির সেন্ট থমাস স্কুলে একটি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলেন না বৃন্দা কারাত। এই প্রসঙ্গে সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য সংবাদমাধ্যমে জানান, “আমাকে বলা হল মেশিনের ব্যাটারি ডাউন। ভাবুন নির্বাচন কমিশনের কী অবস্থা। আমি এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি”
VIDEO | Lok Sabha Elections 2024: “They are saying that machine’s battery is down. Imagine what’s the condition of the Election Commission. I have written a complaint,” says Communist Party of India (Marxist) leader Brinda Karat as she failed to cast her vote at a polling booth… pic.twitter.com/Rp8BxjF37U
— Press Trust of India (@PTI_News) May 25, 2024
বাঁকুড়ার ৫৬, ৫৮, ৬০, ৬১, ৬২ নম্বর বুথে ৫টি ইভিএম শুধুমাত্র বিজেপির ট্যাগ ছিল। এই অভিযোগ পেয়ে কমিশন রিপোর্ট চায়। প্রাথমিক রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে কমিশনে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে কমিশনিং এর সময় অর্থাৎ মক পোলের সময় শুধুমাত্র একজন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকায় সে অ্যাড্রেস ট্যাগে সই করে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।
শনিবার রাজ্যে ষষ্ঠ দফার ভোটে প্রথম চার ঘণ্টায় কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৯৫৪টি। দলগতভাবে এখনও পর্যন্ত ৮৪টি অভিযোগ দায়ের করেছে সিপিআইএম। এরপরেই আছে বিজেপি। যাদের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত ৮২টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূল অভিযোগ দায়ের করেছে ২টি। এনজিআরএস-এ ৫৩৯টি এবং সি-ভিজিল অ্যাপে ২৩৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
মেদিনীপুরের ভোটারদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। অভিযোগ বিশাল কনভয় নিয়ে তিনি খড়্গপুরের এক গ্রামে ভোট পরিদর্শনে গেছিলেন। প্রথমে পুলিশ সেই কনভয় আটকে দেয় বলে অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর। এর পরেই গ্রামবাসীরা প্রার্থীর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ জানিয়েছেন অগ্নিমিত্রা।
পশ্চিমবঙ্গের আট আসনে দু ঘণ্টায় ভোটদানের গড় হার ১৬.৫৪ শতাংশ। সব থেকে বেশি ভোট পড়েছে তমলুকে, ১৯.০৭ শতাংশ। বিষ্ণুপুরে ভোট পড়েছে ১৮.৫৬ শতাংশ। ঘাটাল ১৮.২৭ (শতাংশ), বাঁকুড়া (১৭.৬৯ শতাংশ), কাঁথি (১৫.৪৫ শতাংশ), ঝাড়গ্রাম (১৬.২২ শতাংশ), মেদিনীপুর (১৪.৫৮ শতাংশ), পুরুলিয়া (১২.৩৮ শতাংশ) ভোট পড়েছে।
রাজ্যের ৮ কেন্দ্র মিলিয়ে সকাল ৯টা পর্যন্ত কমিশনে মোট ৩৬৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে সিপিআইএমের তরফ থেকে। তারা ৩৮টি অভিযোগ করেছে। বিজেপি করেছে ৩০টি অভিযোগ।
সকাল থেকে ময়দানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তমলুকের সিপিআইএম প্রার্থী সায়ন ব্যানার্জি। বিভিন্ন বুথে সিপিআইএম এজেন্টদের বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন প্রার্থী। ভোটারদের আশ্বস্তও করছেন। শান্তিপূর্ণ ভোট যেন হয়, তা নিয়ে কথা বলেন পুলিশ ও QRT-র সঙ্গে।
সিপিআইএমের এজেন্টদের তালা দিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ উঠলো তৃণমুলের বিরুদ্ধে। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের কেশপুরের খেতুয়ায় ২৯ নম্বর বুথের ঘটনা। খেতুয়া পার্টি অফিসে বাইরে থেকে তালা মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই অফিসে ৪ জন সিপিআইএম এজেন্ট রয়েছে। পুলিশকে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ।
"কাল কেশপুর, আনন্দপুরে বোমার বৃষ্টি হচ্ছিল। আমি তো সারারাত ধরে আনন্দপুর, কেশপুর ঘুরে বেড়িয়েছি। কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখতে পাইনি। তাঁরা স্কুলের ভিতর বসে খাওয়াদাওয়া করছিলেন এবং রাত্রিবেলা ঘুমিয়েছেন", কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
কেশপুরে তাদের এজেন্টদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও, অভিযোগ করেন তিনি। "তৃণমূলের লোক এজেন্টকে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছিল, আপনারা কোথায় ছিলেন", এক বুথে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে প্রশ্ন করেন তিনি।
তমলুক লোকসভার হলদিয়ায় একাধিক বুথে সিপিআইএম পোলিং এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া, মারধর করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে সিপিআইএম প্রার্থী সায়ন ব্যানার্জি। বিভিন্ন বুথে বুথে গিয়ে দলীয় এজেন্টদের বসিয়ে দিয়ে আসছেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁর দুজন এজেন্টকে বুথের বাইরে থেকে অপহরণ করা হয়েছে।
নন্দীগ্রামের একাধিক এলাকায় রাত থেকে শুরু হয়েছে বোমাবাজি। বকুলনগর, সামসাবাদ সহ হলদি নদীর পাড় বরাবর এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ। ভীতির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের।
নন্দীগ্রাম, ময়না সহ তমলুকের একাধিক এলাকায় তৃণমূলের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুললেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। দু’জন এজেন্টকে ‘অপহরণ’ করারও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
ভোটের আগের রাতে তমলুকের মহিষাদলে খুন হন এক তৃণমূল কর্মী। বিজপির দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। এই ঘটনায় অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট চাইল কমিশন।
তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে উত্তেজনা হলদিয়ার ঘাসিপুর প্রাথমিক স্কুলে। দেওয়া হয় গো ব্যাক ও চাকরি চোর স্লোগান। ভোট চলাকালীন গোলমালের খবর পেয়ে সেখানে যান প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, ওই বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে দেওয়া হচ্ছিল না। তিনি বসাতে গিয়েছিলেন।
ভোটের আগের রাতে তমলুকের মহিষাদলে খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী। নিহতের নাম সেক মইবুল (৪২)। রাতে মোটর সাইকেলে চেপে বাড়ি ফেরার পথে আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে কোপানো হয় মইবুলকে। এর পর রক্তাক্ত অবস্থায় পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় বিজপির দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল।
রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী লড়াইয়ের ময়দানে আছেন। যাদের মধ্যে আছেন বিজেপির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (তমলুক), অগ্নিমিত্রা পাল (মেদিনীপুর), হিরণ চ্যাটার্জি (ঘাটাল)। তৃণমূলের পক্ষে এই পর্বে লড়াইয়ের ময়দানে আছেন অভিনেতা দেব (ঘাটাল), জুন মালিয়া (মেদিনীপুর)। এই পর্বেই তমলুক কেন্দ্র থেকে সিপিআইএম প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ময়দানে আছেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে সোনামণি মুর্মু টুডু। যারা দুজনেই এই প্রথমবার লোকসভায় প্রার্থী হয়েও প্রচার পর্বে যথেষ্ট সাড়া জাগিয়েছেন।
রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে মোট ১০২০ কোম্পানি সিএপিএফ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যা পঞ্চম দফার তুলনায় ৫৬ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ৯১৯ কোম্পানিকে বিভিন্ন বুথে মোতায়েন করা হচ্ছে এবং বাকি ১০১ কোম্পানি বাহিনীকে কুইক রেসপন্স টিম এবং রিজার্ভ হিসেবে রাখা হবে।
ষষ্ঠ দফায় পশ্চিমবঙ্গের আট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। এই আট কেন্দ্র হল - মেদিনীপুর, ঘাটাল, কাঁথি, তমলুক, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর। সকাল ৭ টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন