লোকসভা ভোটে তামিলনাড়ুতে বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া মঞ্চের আসন রফা প্রায় চূড়ান্ত। বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে এমনই জানালো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের দল ডিএমকে। জানা গেছে, সিপিআইএম ও সিপিআইকে দুটি করে আসন ছাড়বে ডিএমকে এবং ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (আইইউএমএল) এবং কেএমডিকে একটি করে আসন ছাড়া হবে।
সিপিআইএম-এর সাথে জোট নিয়ে ডিএমকে সভাপতি এম.কে. স্ট্যালিন এবং সিপিআই-এম রাজ্য সম্পাদক কে. বালাকৃষ্ণানের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। একইভাবে স্ট্যালিনের সাথে সিপিআই রাজ্য সম্পাদক আর মুথারাসানেরও একটি চুক্তি হয়েছে। নির্বাচনী এলাকা নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে ২০১৯–এর লোকসভাতে ডিএমকের সাথে জোট হয়ে দু’টি করে আসনে লড়েছিল দুই বাম দল। সিপিআইএম কোয়ম্বত্তূর এবং মাদুরাই আসনে জিতেছিল। সিপিআই জিতেছিল তিরুপুর এবং নাগাপত্তনম লোকসভা কেন্দ্রে। সেবারের লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে ন’টি আসনে জোট বেঁধেছিল ডিএমকে। তামিলনাড়ুর ৩৯ আসনের মধ্যে ৩৮ টি আসনেই জিতেছিল জোট। একটি আসনে জেতে বিজেপির তৎকালীন সহযোগী এডিএমকে। কিন্তু তারপর দলের এক মাত্র সাংসদ আর রবীন্দ্রনাথকে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে বহিষ্কার করেছেন এডিএমকে প্রধান ইকে পলানীস্বামী।
এবার মনে করা হচ্ছে অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ কমল হাসানের দল ‘মাক্কাল নেধি মইয়ম’ (এমএনএম) ইন্ডিয়া মঞ্চের হয়ে লড়বে এবং তাঁকে কোয়েম্বত্তূর আসন ছাড়া হবে। তবে এই বিষয়ে এখনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি কোনও পক্ষ থেকে। তবে এই জল্পনার সূচনা হয় রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ র সময় কমল হাসানের উপস্থিতি দেখে। সম্প্রতি ‘সনাতন ধর্ম’ বিতর্কে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়নিধির পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন কমল হাসন।
লোকসভা ভোটে এই জনপ্রিয় অভিনেতা ‘ইন্ডিয়া’য় যোগ দিলে তামিলনাড়ুতে তার প্রভাব অবশ্যই পড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। কারণ ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কোয়ম্বত্তূর দক্ষিণ কেন্দ্রে লড়ে হাজার দেড়েক ভোটের জন্য পরাজিত হয়েছিলেন কমল হাসান। পেয়েছিলেন প্রায় ৩৪ শতাংশ ভোট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন