শনিবার ষষ্ঠ দফায় নির্বাচন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে। তার একদিন আগে ঘাটাল কেন্দ্রের অন্তর্গত দাসপুরে এক বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল ২৪ লক্ষ টাকা। এই নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে, পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুললেন ঘাটাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বললেন, “হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই পুলিশকে দিয়ে এইসব করাচ্ছে।“
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দাসপুরের খুকুরদায় চলছিল নাকা চেকিং। সেই সময় স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রশান্ত বেরার গাড়ি আটকায় পুলিশ। তল্লাশিতে বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২৪ লক্ষ টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই টাকার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি প্রশান্ত। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ওই টাকা। টাকার উৎসের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
ভোটের একদিন আগে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করতে শুরু করেছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের কটাক্ষ, ভোটের আগে এলাকায় টাকা, অস্ত্র নিয়ে গোটা রাজ্যকে সন্দেশখালি তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশিস হুদাইত বলেন, “বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের ঘুষ দেওয়ার জন্য ওই টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ চেকিংয়ে ধরা পড়ে গিয়েছে।“
যদিও গোটা ঘটনায় তৃণমূলকেই পাল্টা নিশানা করেছে ঘাটাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। হিরণ বলেন, “যে ভাবে আমার আপ্তসহায়কের বাড়িতে এসেছিল, এটাও সে রকমই এক চক্রান্ত। টাকা, বন্দুক, বোমা বাড়িতে, গাড়িতে ঢুকিয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অনেককেই মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে। হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই এ সব পুলিশকে দিয়ে করাচ্ছে তৃণমূল।“
অন্যদিকে, বিজেপির জেলা সভাপতি তন্ময় দাসের দাবি, উদ্ধার হওয়া টাকা দলেরই। তিনি জানান, “এটা দলের টাকা। পার্টি অফিসের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওই টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অ্যাকাউন্ট থেকে সেই টাকা তোলার পর পার্টি অফিসে রেখেছিল। সাতটা বিধানসভা এলাকার পার্টি অফিসে দেওয়ার জন্য ওই টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সমস্ত নথি আছে। তা পুলিশকে দেখানো হচ্ছে।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন