উলুবেড়িয়াতে নির্বাচনের কাজে যুক্ত বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠার তাঁকে নির্বাচনের কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। রবিবার সন্ধ্যেয় এই ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত ওই জওয়ানকে নির্বাচনের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় উলুবেড়িয়া পুলিশ থানায় এক মহিলা এক বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং ওই জওয়ানকে নির্বাচনের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কমিশন জানিয়েছে, এই বিষয়ে তদন্ত হবে এবং ওই জওয়ান দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুসারে তাঁর শাস্তি হবে।
আজই রাজ্যের সাত কেন্দ্রে সকাল ৭টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এদিন ভোট হচ্ছে হাওড়া জেলার হাওড়া এবং উলুবেড়িয়া, হুগলী জেলার হুগলী, শ্রীরামপুর ও আরামবাগ এবং উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ও বারাকপুর কেন্দ্রে।
রাজ্যের মোট ৭ কেন্দ্রের ৫৭ শতাংশ বুথকেই স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছে কমিশন। নির্বাচনে শান্তি বজায় রাখতে ৬০ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ভোটের কাজে নিযুক্ত আছে ৩০ হাজার পুলিশ কর্মী। রাজ্যে আগের চার দফার তুলনায় এই দফাতে সবথেকে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।
সোমবার সকালে এখনও পর্যন্ত মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটদানের হার বেশ ভালো। কমিশনের তথ্য অনুসারে সকাল ৯টা পর্যন্ত হাওড়ায় ১৫.২ শতাংশ, উলুবেড়িয়ায় ১৭.২৫ শতাংশ, শ্রীরামপুরে ১৪.৪৩ শতাংশ, আরামবাগে ১৬.৩৮ শতাংশ, হুগলিতে ১৪.০১ শতাংশ, ব্যারাকপুরে ১৫.০৮ শতাংশ এবং বনগাঁয় ১৫.১৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।
অন্যদিকে ভোটের আগের দিন রবিবার রাতে হাওড়া সালকিয়ায় ত্রিপুরা রায় লেনে সিপিআইএমের এরিয়া কমিটির অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী দলবল নিয়ে চড়াও হয়ে সিপিআইএম কর্মীদের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ শুনে রাতেই দলীয় অফিসে আসেন হাওড়া লোকসভার সিপিআইএম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই হামলার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
এদিন সকালে লিলুয়ার একটি বুথে প্রিসাইডিং অফিসারকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার জেরে ভোটগ্রহণ সাময়িক বন্ধ থাকে। যদিও পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ফের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন