বিজেপির নির্বাচনী বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল দেশের চার মহিলা সংগঠন। বিজেপির বিজ্ঞাপনে মহিলাদের পণ্য হিসেবে দেখানো হয়েছে দাবি তুলে অবিলম্বে এই বিজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে মহিলা সংগঠনগুলির তরফে। এই আবেদন জানিয়েছে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি, ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ওমেন, অল ইন্ডিয়া প্রোগ্রেসিভ ওমেন’স অ্যাসোসিয়েশন এবং অল ইন্ডিয়া কো-অরডিনেশন অফ পিওডব্লু, পিএমএস আইজেএম।
চার জাতীয় মহিলা সংগঠন বিজেপি প্রকাশিত সাম্প্রতিক নির্বাচনী বিজ্ঞাপনের তীব্র নিন্দা করেছে। এই বিজ্ঞাপনের বিরোধিতা করে জানানো হয়েছে – এই বিজ্ঞাপন দেশের মহিলাদের জন্য অপমানজনক, কারণ বিজ্ঞাপনে মহিলাদের অত্যন্ত সামন্তবাদী, পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে চিত্রিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপির দ্বারা উত্থাপিত "নারী শক্তি"-র মনুবাদী ধারণাটি তার আসল রূপে প্রদর্শিত হয়েছে।
মহিলা সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে বিজেপির কাছ থেকে এই বিজ্ঞাপনের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি অবিলম্বে এই বিজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে এই ধরণের প্রচার আটকাতে দেশের সব মহিলাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে চার মহিলা সংগঠন।
গত সপ্তাহের প্রথম দিকে বিজেপির পক্ষ থেকে এই বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। যে বিজ্ঞাপনে কটাক্ষ করা হয় ইন্ডিয়া মঞ্চকে। মোট ২ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের এই বিজ্ঞাপনে বিরোধী ইন্ডিয়া মঞ্চের সব সদস্যকে দেখানো হয়েছে। ওই প্রচার ভিডিও অনুসারে, পাত্রপক্ষ পাত্রী দেখতে গেছে এবং সেখানে পাত্রপক্ষের হয়ে যারা গেছে তারা সবাই পাত্র হতে আগ্রহী বলে দেখানো হয়েছে। যা নিয়ে নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা বেধে যায়। ভিডিওর একদম প্রথমে যাকে দেখানো হয়েছে তিনি রাহুল গান্ধীর আদলে এবং তিনি কন্যাপক্ষকে বলছেন, আমরা সকলে ভাগ বাঁটোয়ারা করে খাই। এখানেই অন্য যেসব বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের আদলে চরিত্র রূপায়িত হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন লালুপ্রসাদ, তেজস্বী যাদব, অরবিন্দ কেজরীওয়াল, সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, এম কে স্ট্যালিন, মমতা ব্যানার্জি প্রমুখ। ভিডিওর একদম শেষে বলা হয়, যারা পাত্র ঠিক করতে পারেনা তারা কীভাবে দেশের প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবে?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন