প্রচারে বেরিয়ে বাধার মুখে পড়লেন যাদবপুরের সিপিআইএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। সিপিআইএম প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইট। প্রচারের গাড়ি থেকে ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় দলীয় পতাকা। প্রার্থীকে দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগান। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে সিপিআইএম। সৃজনের দাবি, হেরে যাওয়ার ভয়ে এই সব করেছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
মঙ্গলবার সকালে গড়িয়া এলাকায় প্রচারে বেরোন যাদবপুরের সিপিআইএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। গাড়ির পিছনে বাইক, অটোতে ছিল সিপিআইএমের কর্মী-সমর্থকেরা। অভিযোগ ওঠে, হুডখোলা গাড়ি নিয়ে জনসংযোগ করতে করতে প্রচারের গাড়ি যখন পঞ্চসায়র থানা এলাকায় এসে পৌঁছায়, তখন সিপিআইএম প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় গাড়িতে থাকা সিপিআইএমের পতাকা। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ালে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনায় যাদবপুরের সিপিআইএম প্রার্থী অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের দিকে। সংবাদ মাধ্যমে সৃজন বলেন, “হেরে যেতে পারে, এই ভয় থেকেই তৃণমূল আমাদের বাধা দিতে শুরু করেছে। তবে এ ভাবে আমাদের আটকানো যাবে না। জয় আমাদেরই হবে।“
এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছেন দমদমের সিপিআইএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেছেন, “এখন বুঝতে পারছে, লাল ঝাণ্ডা মানুষের বিশ্বাস-ভরসা আদায় করছে, তাতে ভয় পেয়ে গিয়েছে। প্রত্যেক প্রার্থীর প্রচারের অধিকার রয়েছে। পঞ্চসায়রে কী করছে পুলিশ? এটা নিশ্চিত বুঝে রাখুন, এটা তৃণমূলের পরাজয়ের লক্ষণ।“
অন্যদিকে, সোমবার রাতে নাকতলা এবং সংলগ্ন এলাকায় সিপিআইএমের পতাকা এবং প্রার্থীর ফ্লেক্স ছিঁড়ে ফেলা হয়। অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতিরা রাত ২.৩০ টে নাগাদ একটি বাইকে করে এসে পতাকা এবং ফ্লেক্স-ব্যানার ছিঁড়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই নাকতলা এলাকার বাম নেতৃত্ব পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
যদিও এই দুই ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল। ওই এলাকার এক তৃণমূল নেতা জানান, যাদবপুরে সিপিআইএম তৃতীয় সন্তান। তিনের সঙ্গে একের কোনো লড়াই নেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন