আসন্ন লোকসভা ভোটের জন্য বিহারে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করে ফেললো এনডিএ জোট। সোমবার বিজেপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে ঘোষণা করা হয়েছে। আসন সমঝোতার সূত্র অনুসারে বিজেপি লড়াই করবে ১৭ আসনে এবং জেডিইউ লড়বে ১৬ আসনে। এর পাশাপাশি চিরাগ পাশোয়ানের এলজেপি (রামবিলাস) পাবে ৫টি আসন এবং জিতন রাম মাঝির হাম এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা পাবে ১টি করে আসন। বিহারে লোকসভার মোট আসন ৪০টি।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনের সমঝোতা সূত্র অনুসারে কার্যত অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে গেল প্রয়াত রামবিলাস পাশোয়ানের এলজেপি এবং দলের প্রধান পশুপতি পারসের। যিনি এলজেপি ভাঙার সময় এনডিএ-র সঙ্গে ছিলেন এবং লোকসভার স্পীকার ওম বিড়লা তাদের গোষ্ঠীকেই মূল এলজেপি বলে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন পশুপতি পারশ। সেইসময় এলজেপির ৬ সাংসদের ৫ জনই ছিলেন পারশের সঙ্গে।
যদিও এদিনের আসন ভাগাভাগিতে সেই এলজেপির জন্য কোনও আসন বরাদ্দ হয়নি। ফলে প্রশ্ন উঠলো পশুপতি পারশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। যদিও সূত্রের খবর, তাঁকে বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যপাল হবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সূত্র অনুসারে এবার পশুপতি পারশের হাজিপুর আসন থেকেই লড়াই করবেন চিরাগ পাশোয়ান।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৯টিতে জয়ী হয় এনডিএ। যার মধ্যে ১৭ আসনে জয়ী হয় বিজেপি এবং ১৬ আসনে জয়ী হয় জেডিইউ। বাকি ৭ আসনের ৬টিতে জয়ী হয় এলজেপি এবং ১টিতে কংগ্রেস।
এর আগে আসন সমঝোতার প্রশ্নে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন পশুপতি পারস। যেখানে তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রাপ্য সম্মান না পেলে এনডিএ ত্যাগ করতে দ্বিধা করব না। ওইদিনই পারশ জানান, তাদের দল বিহারের আসন ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এবং তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
সাংবাদিক সম্মেলনের আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাকে আসন সমঝোতার বিষয়টি পুনঃবিবেচনার জন্য অনুরোধ করেন। যদিও এদিনের আসন ঘোষণার পরেই প্রমাণ হয়ে গেল যে পারশের আবেদনে সাড়া দেয়নি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন