পঞ্চম দফা ভোটে রাজ্যে মোট গ্রেফতার হয়েছে ৯০ জন। সবথেকে বেশি গ্রেফতার হয়েছে হুগলিতে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানাল নির্বাচন কমিশন। কমিশন আরও জানিয়েছে, পঞ্চম দফা ভোট রাজ্যে মোটের উপরে শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে।
সোমবার রাজ্যের সাত কেন্দ্রে ছিল পঞ্চম দফার নির্বাচন। ভোট শেষে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব গ্রেফতারির পরিসংখ্যান দেন। গ্রেফতারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার হুগলি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৭ জনকে। এছাড়া হাওড়ায় ৩৫ জন, ব্যারাকপুরে এক জন এবং বনগাঁয় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এদিন বিবৃতিতে জানান, সোমবার ভোট চলাকালীন হাওড়ার বালির ১৮৭ নম্বর বুথ থেকে ভুয়ো ভোটারকে গ্রেফতার করা হয়। ভোটার কার্ডের ছবির সঙ্গে তাঁর মুখের মিল ছিল না। হাওড়া উত্তরের এক পোলিং এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ভোটার স্লিপ দেখিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া, বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচীর গাড়ির কাঁচ ভাঙ্গার অপরাধে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, হাওড়ার ১৭৬ নম্বর বুথে প্রিসাইডিং অফিসারকে সরানো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বুথের ভিতরে নিয়ম-বহির্ভূত কাজ করার অভিযোগ ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে ওই বুথে নতুন প্রিসাইডিং অফিসার বসানোর পাশাপাশি একজন অতিরিক্ত পোলিং এজেন্টও দেওয়া হয়। তদন্ত চলছে ওই ঘটনার বিরুদ্ধে।
এছাড়া, সোমবার হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। পাশাপাশি, হুগলির জাঙ্গিপাড়ার বিড়লা হাই স্কুলের ১৯৫ নম্বর বুথে এক সিআরপিএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। পরিবর্তন করে দেওয়া হয় ওই এলাকার সিআরপিএফের পুরো টিমকে। ওই ঘটনার তদন্ত চলছে।
কমিশন জানিয়েছে, সোমবার রাজ্যে মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ হয়েছে। এদিন রাজ্যে ৬৪ হাজার ৭০৯ জন কর্মী কাজ করেছেন। ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। পাশাপাশি, রাজ্য পুলিশের ২৫ হাজার ৫০৯ জন কর্মীও কাজ করেছেন এই ভোটে। ৫৬৭টি ‘কুইক রেসপন্স টিম’ ছিল। ৯৬৭ জন পর্যবেক্ষক (মাইক্রো অবজ়ার্ভার) ছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন