রাজ্যের ৫ জেলার ৮ টি আসনে চলছে চতুর্থ দফার ভোট। ভোট গ্রহণ চলছে বহরমপুর, বীরভূম, বোলপুর, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর, আসানসোল, বর্ধমান-পূর্ব এবং বর্ধমান-দূর্গাপুর লোকসভা আসনে। ভোট শুরু হতেই অশান্তির খবর বিভিন্ন কেন্দ্রে।
চতুর্থ দফার ভোট শুরু হতেই অশান্ত হয়ে উঠল বহরমপুর। হরিবাটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের ৫১ ও ৫২ নম্বর বুথে কংগ্রেস এজেন্টদের বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কংগ্রেসের অভিযোগ, তাদের এজেন্টকে বারবার বার করে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এক তৃণমূল কর্মীকে সপাটে চড় মারেন এক পুলিশ আধিকারিক বলে জানা গেছে।
ধস্তাধস্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তখনই এক তৃণমূল কর্মীকে সপাটে চড় মারার অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও পুলিশের বিরুদ্ধে দুই দলের চার-পাঁচটি বাইক ভেঙ্গে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।
বড়ঞার পাশাপাশি বেলডাঙ্গাতেও অশান্তির খবর মিলেছে। বেলডাঙ্গার মির্জাপুর খাগড়ুপাড়া ৮৫ নং বুথের বাইরে অবৈধ জমায়েত হয়। ফলে ৮৫ নম্বর বুথের বাইরে উত্তেজনা ছড়ায়। লাঠি উঁচিয়ে অবৈধ জমায়েত হঠায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ ওঠে, কংগ্রেসের পোলিং এজেন্ট বসাতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল।
অন্যদিকে, বহরমপুরের তৃণমূলের তারকা প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে বুথ পরিদর্শনে গিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে। বেলডাঙার মির্জাপুর-খাগড়ুপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথের ঘটনা। অভিযোগ ওঠে, ভোটারদের রাজ্য সরকারের প্রকল্পের কথা মনে রেখে ভোট দিতে বলছেন তৃণমূল কর্মীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ অত্যাচার করছে বলে ভোটারদের জানাচ্ছেন তৃণমূল কর্মী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন