লোকসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন গুজরাটের ভাদোদরার বিজেপি প্রার্থী রঞ্জনবেন ভাট। তাঁর পুনঃমনোনয়ন নিয়ে ভাদোদরা জুড়ে কড়া সমালোচনা শুরু হবার পর তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা বিজেপির পক্ষে এক বড়ো ধাক্কা। এর আগে দু’বার তিনি এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এবার নিয়ে তৃতীয়বার রঞ্জনবেনের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হয়েছিল।
শনিবার সকালে এক এক্স বার্তায় (পূর্বতন ট্যুইটার) তিনি লেখেন, আমি রঞ্জনবেন ধনঞ্জয় ভাট, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অনিচ্ছুক।
সংবাদমাধ্যমে ভাট জানিয়েছেন, তাঁর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হবার পর গত ১০ দিন ধরে যেভাবে তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা হয়েছে তাতে নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গেলেও একজন বিজেপি সদস্য হিসেবে এই কেন্দ্র থেকে যিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাঁর জন্য সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমার নাম ব্যবহার করে কিছু মানুষ অপপ্রচার চালিয়েছে।
এর আগে ভাদোদরা জুড়ে রঞ্জনবেন ভাটের বিরুদ্ধে ব্যানার, ফ্লেক্স লাগিয়েছিল বিক্ষুব্ধরা। এছাড়াও স্থানীয় বেশ কিছু বিজেপি নেতৃত্ব প্রকাশ্যেই তাঁর প্রার্থী হবার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এমনকি রঞ্জনবেন-এর নাম বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হবার পর বিজেপির জাতীয় মহিলা শাখার সহ সভাপতি পদ এবং বিজেপির সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেন জ্যোতিবেন পান্ডিয়া।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ভাদোদরা আসনটি ছেড়ে দেবার পর উপনির্বাচনে রঞ্জনাবেন প্রথম বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। ২০১৯-এর নির্বাচনেও তিনি বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ওই কেন্দ্র থেকে সাংসদ হন।
ভাদোদরা কেন্দ্র জুড়ে রঞ্জনাবেন ভাটের প্রার্থীপদের বিরুদ্ধে পোষ্টার লাগানোর জন্য ইতিমধ্যেই ভাদোদরা পুলিশ দুই কংগ্রেস কর্মী সহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন