একের পর এক রাজ্যে দ্রুততার সঙ্গে আসন রফা চূড়ান্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আসন রফা চূড়ান্ত হয়েছে। এছাড়াও হরিয়ানা, চন্ডীগড়, গোয়া, দিল্লি নিয়ে আম আদমি পার্টির সঙ্গে রফাসূত্র চূড়ান্ত হবার পথে। কথা চলছে পশ্চিমবঙ্গ নিয়েও। এরই মাঝে মহারাষ্ট্রে আসন সমঝোতা সেরে ফেলতে শিবসেনা ইউটিবি গোষ্ঠীর প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দীর্ঘ সময় টেলিফোনে কথোপকথন সারলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সূত্র অনুসারে দুই নেতৃত্বের মধ্যে মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সূত্র অনুসারে, মুম্বাইয়ের ৬টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক কংগ্রেস। এই তিনটি আসন হল মুম্বাই দক্ষিণ মধ্য, মুম্বাই উত্তর মধ্য এবং মুম্বাই উত্তর পশ্চিম। অন্যদিকে রাজ্যের মোট ৪৮ আসনের মধ্যে মুম্বাইয়ের ৪ আসন সহ ১৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠী।
মহারাষ্ট্রের বিরোধী রাজনৈতিক জোট মহাবিকাশ আঘাদির মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চললেও এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এই জোটের মূল ৩ শরিক কংগ্রেস, শিবসেনা উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী এবং এনসিপি-র শারদ পাওয়ার গোষ্ঠীর মধ্যে আলোচনা চলছে। সূত্র অনুসারে ৪০টি আসনে সমঝোতা সূত্র পাওয়া গেলেও ৮ টি আসন নিয়ে এখনও দ্বন্দ্ব আছে।
সূত্র অনুসারে, মহারাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সময়ে দুই শীর্ষ কংগ্রেস নেতা – মিলিন্দ দেওরা এবং অশোক চবনের দলত্যাগের পর শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠী আরও বেশী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছে।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ শরিক হিসেবে ২৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শিবসেনা জয়ী হয় ১৮ আসনে। যদিও বর্তমানে শিবসেনা ভেঙে দু’টুকরো হয়েছে এবং যার জেরে মহারাষ্ট্রে মহাবিকাশ আঘাদির সরকারের পতন হয়েছে।
গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সহযোগী হিসাবে ১৯টিতে লড়ে ৪টি জিতেছিল এনসিপি। ২৫টি লড়ে কংগ্রেসের ঝুলিতে আসে মাত্র ১টি! তবে এখন পরিস্থিতি পালটেছে। ২০২২ সালের একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর বিদ্রোহের পর ১২ জন সাংসদ যোগ দেয় শিন্ডে-বিজেপি শিবিরে। অন্যদিকে এনসিপির বিদ্রোহী অজিত পাওয়ারও এখন শিন্ডে শিবিরে।
শিবসেনা ভাঙার পাশাপাশি এনসিপি-র ভেঙে শারদ পাওয়ারের পরিবারের সদস্য অজিত পাওয়ার এনডিএ বেশ কিছু বিধায়ক ও সাংসদ সঙ্গে নিয়ে এনডিএ শিবিরে যোগ দিয়েছেন। ফলে মহাবিকাশ আঘাদির তিন মূল দলের প্রত্যেকের কাছেই এখন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। তাই আসন রফা নিয়ে আলোচনাতে সব পক্ষই সমঝোতার রাস্তাতেই হাঁটতে চাইছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন