বাংলায় একেবারে ধরাশায়ী হল বিজেপি। ৩০-এর টার্গেট নিয়ে রাজ্যে প্রচারে নামা বিজেপি মাত্র ১১ আসনে এগিয়ে। তৃণমূল এগিয়ে ৩০ টি আসনে। একটি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস।
ডায়মন্ড হারবারে জয় একপ্রকার নিশ্চিত তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির। ৬ লক্ষাধিক ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৮ লাখ ৩২ হাজার। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস পেয়েছেন ২ লাখ ২৭ হাজার ভোট। সিপিআইএম প্রার্থী প্রতীক উর রহমান পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৬১৯ ভোট।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গাঙ্গুলি এবং তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যর মধ্যে। শেষ পাওয়া খুর অনুযায়ী প্রায় ১৬ হাজার ভোটে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার। দেবাংশু ভট্টাচার্য পেয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ভোট। এই কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী আইনজীবী সায়ন ব্যানার্জি। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৪৩ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে শেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ৩৮ হাজার ভোটে এগিয়ে শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৬২ হাজার। বিজেপির কবির শঙ্কর বোস পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ভোট। সিপিআইএমের দিপ্সীতা ধর পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৫৬০ ভোট।
৯৭ হাজারেরও বেশি ভোটে পিছিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ পেয়েছেন ৪ লাখ ১৫ হাজার ভোট। এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ পেয়েছেন ৫ লাখ ১২ হাজার ভোট।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে শেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী হুগলীতে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী রচনা ব্যানার্জি। ৩৪,৪৩৩ ভোটে এগিয়ে তিনি। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২ লাখ ৮১ হাজার ৯৬১। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ লকেট চ্যাটার্জির প্রাপ্ত ভোট ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫২৮। তবে এখনও বেশ কয়েক রাউন্ড গণনা বাকি।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ৬৫ হাজার ৩১৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। জয় একপ্রকার নিশ্চিত জেনেই সাইকেলে চড়ে কৃষ্ণনগরের গণনাকেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন মহুয়া।
তমলুক লোকসভায় এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। এখানে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বিন্দ্বিতা করছেন যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। এই কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী সায়ন ব্যানার্জি।
বর্ধমান-দুর্গাপুরে পিছিয়ে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ
ডায়মন্ড হারবারে গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এলেন সিপিআইএমের সমস্ত দলীয় এজেন্ট। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রের ভেতর তাঁদের বসতে দেওয়া হয়নি, তাঁদের মারধর করা হয়েছে। ভেতরে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। নির্বাচনী আধিকারিকদের জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। এই একই অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীরও। সিপিআইএমের আগেই তিনি তাঁর দলীয় এজেন্টদের নিয়ে গণনা কেন্দ্রের বাইরে বেরিয়ে আসেন এবং ধর্নায় বসেন। উভয় বিরোধী দলের এজেন্টদের অভিযোগ, তাঁদের প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছেন ভেতরে থাকা কয়েকজন লোক।
গণনার প্রথম ১ ঘণ্টা অতিবাহিত। আপাতত পোস্টাল ব্যালটের গণনা চলছে। প্রাথমিক ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে ১৮ টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। তৃণমূল এগিয়ে ১৬টিতে। ২টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস এবং একটিতে এগিয়ে সিপিআইএম।
পোস্টাল ব্যালট গণনায় ঘাটালে পিছিয়ে গেলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এগিয়ে গেলেন তৃণমূলের দেব।
পশ্চিমবঙ্গে চলছে পোস্টাল ব্যালট গণনা। গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ডে ২টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। বহরমপুরে ফের এগিয়ে গিয়েছেন অধীর চৌধুরী এবং জঙ্গিপুরে এগিয়ে মোর্তাজা হোসেন।
ডায়মন্ড হারবারে গণনা কেন্দ্রের বাইরে সমস্ত দলীয় এজেন্টদের নিয়ে ধর্নায় বসলেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের ভেতর বিজেপির এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি, তাঁদের মারধর করা হয়েছে। ভেতরে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। নির্বাচনী আধিকারিকদের জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
পোস্টাল ব্যালটে ঘাটালে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। পিছিয়ে রয়েছেন তৃণমূলের দেব।
মুর্শিদাবাদ লোকসভায় পোস্টাল ব্যালট গণনা চলছে। গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে সেখানে এগিয়ে সিপিআইএমের মহম্মদ সেলিম।
পোস্টাল ব্যালট গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ডে কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী এগিয়ে থাকলেও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এই মুহূর্তে তিনি পিছিয়ে গিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গে চলছে পোস্টাল ব্যালট গণনা। গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ডে এগিয়ে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত ১১ টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। তৃণমূল এগিয়ে ৫টি কেন্দ্রে।
গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে বহরমপুর লোকসভায় এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী।
ব্যারাকপুরে গণনাকেন্দ্রের বাইরে সকাল থেকে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের ভিড়। সকালেই বেশ কয়েকজন কর্মী নিয়ে গণনা কেন্দ্রের সামনে আসেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। তাঁকে ঘিরে স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা। এই নিয়ে কেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনা তৈরি হয়।
রাজ্যে শুরু হল ভোটের গণনা। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা হবে। ৩ লক্ষেরও বেশি পোস্টাল ব্যালট জমা পড়েছে। তা শেষ হলে হবে EVM গণনা। ভোট গণনায় মাইক্রো অবজার্ভার-সহ ২৫ হাজার গণনা কর্মী থাকছেন। কমিশন সূত্রে খবর, গণনা কেন্দ্রের বাইরে ২০০ মিটার পর্যন্ত জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। প্রত্যেকেরই বয়স ৩০-এর নীচে।
গণনা শুরুর আগেই ভাঙড়ে বিস্ফোরণ। ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের উত্তর কাশীপুরের চালতাবেড়িয়ায় বোমা ফেটে আহত ৫। আহতদের মধ্যে রয়েছেন আইএসএফের পঞ্চায়েত সদস্য আজহারউদ্দিন। সকলের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের রেফার করা হয়েছে এসএসকেএমে।
প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা থাকবে। প্রথম স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। দ্বিতীয় স্তরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। শেষ স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকেরা।
আজ লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা। সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে গণনা। রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রের জন্য মোট ৫৫টি গণনা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের জন্য সবথেকে বেশি গণনা কেন্দ্র রয়েছে, ৭টি। ডায়মন্ড হারবারে ৪টি, দার্জিলিঙে ৩টি এবং রায়গঞ্জে ২টি গণনা কেন্দ্র এবং বাকি সব কেন্দ্রে একটি করে গণনা কেন্দ্র রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন