দুপুর ৩টে পর্যন্ত রাজ্যের ৩ কেন্দ্রে ভোটের হার প্রায় ৬২ শতাংশে পৌঁছালো। দেশের ক্ষেত্রে ভোটদানের হার ৪৭.৫৩ শতাংশ। এদিনই অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফায় রাজ্যের ৭ কেন্দ্র সহ দেশের ৪৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৭টায়। চলবে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশনের সূত্র অনুসারে, দুপুর ৩টে পর্যন্ত রাজ্যের ৭টি কেন্দ্রের মধ্যে হাওড়ায় ভোট পড়েছে ৫৮.৮১ শতাংশ, উলুবেড়িয়ায় ৬৬.৪৫ শতাংশ, বনগাঁয় ৬১.৮৩ শতাংশ, বারাকপুরে ৫৫.৩৪ শতাংশ, শ্রীরামপুরে ৬৩.০৫ শতাংশ, হুগলীতে ৬৫.০১ শতাংশ এবং আরামবাগে ৬৭.১২ শতাংশ। জানা গেছে পঞ্চম দফায় বিকেল ৩টে পর্যন্ত ভোটদানের হারে এগিয়ে রাজ্য।
নির্বাচন কমিশনের সূত্র অনুসারে অন্যান্য রাজ্যের ক্ষেত্রে দুপুর ৩টে পর্যন্ত সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে মহারাষ্ট্রে। বিকেল ৩টে পর্যন্ত সেখানে ভোট পড়েছে ৩৮.৭৭ শতাংশ। বিহারে ভোট পড়েছে ৪৫.৩৩ শতাংশ, জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট পড়েছে ৪৪.৯০ শতাংশ, ওড়িশায় ৪৮.৯৫ শতাংশ, ঝাড়খণ্ডে ৫৩.৯০ শতাংশ এবং লাদাখে ৬১.২৬ শতাংশ।
এদিন পশ্চিমবঙ্গের ৭ কেন্দ্র ছাড়াও বিহারের ৫ কেন্দ্রে, ঝাড়খণ্ডের ৩ কেন্দ্রে, মহারাষ্ট্রের ১৩ কেন্দ্রে, ওড়িশার ৫ কেন্দ্রে, উত্তরপ্রদেশের ১৪ কেন্দ্রে এবং লাদাখ ও জম্মু ও কাশ্মীরের ১ টি করে কেন্দ্রে ভোট ভোটগ্রহণ চলছে।
বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া এখনও পর্যন্ত ভোটগ্রহণ মোটামুটি শান্তিপূর্ণ আছে। হাওড়া, উলুবেড়িয়া এবং শ্রীরামপুর কেন্দ্রের বেশ কিছু জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বারাকপুরেও ইতস্তত বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। হুগলী কেন্দ্রে একসময় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র। হাওড়ায় বেশ কিছু কেন্দ্র থেকে বাম প্রার্থীদের এজেন্ট বের করে দেওয়া হলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান বাম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। একইভাবে শ্রীরামপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত হাওড়ার বাঁকড়ায় কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলে দ্রুত সেখানে গিয়ে নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তায় সেই সমস্যা মেটানোর ব্যবস্থা নেন বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর।
এদিন আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চন্দ্রকোণায় একটি বুথে অশান্তি দেখা দিলে কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উলুবেড়িয়ার কংগ্রেস প্রার্থীর এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন