আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ থেকে বাদ পড়তে চলেছেন একাধিক বর্তমান বিজেপি সাংসদ। ইতিমধ্যেই ২০২৪-এর প্রার্থী তালিকা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে বিজেপি। সেই সূত্র থেকেই এই তথ্য উঠে এসেছে। যে তালিকায় নাম আছে একাধিক প্রভাবশালী বিজেপি সাংসদের।
বিজেপি সূত্রের খবর অনুসারে, যেসব সাংসদের বয়স ৭৫ বা তার কাছাকাছি তাঁদের এবার মনোনয়ন দেওয়া হবে না। এছাড়াও যারা সাংসদ হিসেবে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেননি এবং যারা দলের কড়া সমালোচনা বা দল বিরোধী কাজ করেছেন তাঁদেরও ছেঁটে ফেলা হবে।
প্রভাবশালী যেসব বিজেপি সাংসদ আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাদ পড়তে পারেন তাঁদের মধ্যে আছেন কানপুরের বিজেপি সাংসদ সত্যদেব পচৌরি। বয়স পঁচাত্তর পেরিয়ে যাওয়ায় তাঁর মনোনয়ন না পাবার সম্ভাবনা প্রবল। তাঁর জায়গায় উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার বর্তমান স্পীকার সতীশ মাহানাকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
বিজেপি সূত্র অনুসারে, বেরিলির সাংসদ সন্তোষ গাঙ্গোয়ারও আগামী লোকসভা নির্বাচনে বয়সের কারণে মনোনয়ন না পেতে পারেন।
এছাড়াও মথুরার সাংসদ হেমা মালিনী, প্রয়াগরাজের সাংসদ রীতা বহুগুণা জোশী বয়স পেরিয়ে যাওয়ার কারণে সম্ভবত আর মনোনয়ন পাবেন না।
এছাড়াও বয়েসের তালিকায় পড়ছেন দুমারিয়াগঞ্জের সাংসদ জগদম্বিকা পাল, মীরাটের সাংসদ রাজেন্দ্র আগরওয়াল, ফিরোজাবাদের সাংসদ চন্দ্রসেন জাদাউন।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় আগামী লোকসভা নির্বাচনে মনোনয়ন না পাবার সম্ভাবনা প্রবল বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীর। বিগত বেশ কিছু সময় ধরে তিনি লাগাতার বিজেপির বিভিন্ন নীতি এবং নেতৃত্বের সমালোচনা করে গেছেন। বিশেষ করে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে এবং লখিমপুর খেরিতে কৃষক হত্যার ঘটনায় তিনি সরাসরি প্রতিবাদ জানিয়েছেন নিজের দলের বিরুদ্ধেই।
বিজেপির অভ্যন্তরীণ সূত্র অনুসারে, এছাড়াও বিজেপির একাধিক সাংসদ আছেন যারা সাংসদ হিসেবে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেননি। আগামী নির্বাচনে এইসব সাংসদকে ছেঁটে ফেলা হবে। কারণ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কোনোরকম ঝুঁকি নিতে চায়না। যে কোনো মূল্যে সরকারে ফেরাই বিজেপির মূল লক্ষ্য।
বিজেপি নেতৃত্বের পর্যবেক্ষণ অনুসারে, অ-জনপ্রিয় সাংসদদের মনোনয়ন না দিলে মানুষের কাছে ভালো বার্তা দেওয়া যাবে এবং সেক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কাজের ভালো প্রচার করা যাবে।
বিজেপির উত্তরপ্রদেশ রাজ্য নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে বর্তমান সাংসদদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন। শুরু হয়ে গেছে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে প্রাথমিক আলোচনাও।
রাজ্যের ৮০টি লোকসভা আসনের বাস্তব পরিস্থিতি বুঝে নিতে এক বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে করানো হয়েছে গোপন সমীক্ষা। বিজেপির অভ্যন্তরীণ সূত্র অনুসারে, আগামী লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে এবং ওই বেসরকারি সংস্থা প্রতি তিন মাস অন্তর বিজেপি নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেবে। সমীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতেই আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন