কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলো ইন্দোর পুলিশ। গত শুক্রবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এক ট্যুইটের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। রাজ্যের শিবনাথ সিং চৌহানের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ৫০ শতাংশ কমিশনের অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী।
শুক্রবারের ট্যুইটে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লিখেছিলেন, “কর্ণাটকের বিজেপি সরকার ঠিকাদারদের থেকে ৪০ শতাংশ কমিশন নিয়েছিল। এবার মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার তাঁদের দলেরই রেকর্ড ভাঙল। সেই রাজ্যে ক্ষুদ্র ঠিকাদারদের থেকে ৫০ শতাংশ কমিশন নেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নিজেই নিজের দুর্নীতির রেকর্ড ভাঙছে। কর্ণাটকের মানুষ ৪০% কমিশনের সরকারকে সরিয়ে দিয়েছে, এবার মধ্যপ্রদেশের মানুষ ৫০% কমিশনের বিজেপি সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবে।”
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা ছাড়াও ওই ট্যুইটের জেরে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা কমলনাথ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ যাদবের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করেছে ইন্দোর পুলিশ। কারণ প্রথম এই ট্যুইট করেছিলেন কংগ্রেস নেতা অরুণ যাদব।
ইন্দোরের পুলিশ কমিশনার ট্যুইটারে এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, স্থানীয় বিজেপি আহ্বায়ক নিমেশ পাঠক অভিযোগ জানিয়েছেন যে জনৈক জ্ঞানেন্দ্র অবস্থীর নাম দিয়ে এক ভুয়ো চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করা হয়েছে। যে চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের ঠিকাদারদের কাছ থেকে ৫০ শতাংশ কমিশন চাওয়া হয়। এই ঘটনায় অবস্থীর বিরুদ্ধে এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা, কমল নাথ এবং অরুণ যাদবের বিরুদ্ধে শহরের সান্যোগীতাগঞ্জ পুলিশ থানায় এক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এই অভিযোগের তদন্ত করছে।
এর আগে শনিবার পুলিশের এডিসি রামসানেহি মিশ্র দাবি করেছিলেন ওই প্রসঙ্গে ট্যুইট করার জন্য বঢরা, নাথ এবং অরুণ যাদবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন পাঠকের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দন্ডবিধির ধারা ৪২০ (প্রতারণা) এবং ধারা ৪৬৯ (ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য জালিয়াতি) অনুসারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা নিমেশ পাঠক জানিয়েছেন, রাজ্যের বিজেপি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরণের ‘বিভ্রান্তিমূলক’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার অভিযোগের উত্তরে মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কংগ্রেস যদি এই অভিযোগের কোনো প্রমাণ না দেখাতে পারলে বিজেপি আইনি পথে এর মোকাবিলা করবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন