একনাথ সিন্ধে গোষ্ঠীর ২২ জন বিধায়ক এবং ৯জন সাংসদ যে কোনো সময় দল ছাড়তে পারেন। কারণ তাঁরা বিজেপির বিমাতৃসুলভ আচরণের জন্য এক দমবন্ধ করা পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন এবং অস্বস্তি বোধ করছেন। মঙ্গলবার শিবসেনা (ইউটিবি) গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়েছে।
শিবসেনা সাংসদ গজানন কীর্তিকারের মন্তব্য উল্লেখ করে এদিন শিবসেনা (ইউটিবি) মুখপত্র সামনা’র সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন – বিজেপির এই আচরণের কারণেই ২০১৯ সালে শিবসেনা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেছিল।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিজেপির এই বিমাতৃসুলভ আচরণ উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেবার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না এবং আত্মসম্মান বজায় রেখে এই জোট চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না।
সামনা-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিন্ধে গোষ্ঠীর ২২জন বিধায়ক এবং ৯ জন সাংসদ বিজেপির আচরণে ক্ষুব্ধ এবং তাঁরা দল ছাড়ার জন্য মনস্থির করছেন।
সম্পাদকীয় প্রতিবেদন অনুসারে, শিবসেনা বিধায়ক এবং সাংসদরা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলালেও এক বছরের মধ্যেই তাদের মধুচন্দ্রিমা শেষ হয়েছে এবং ক্রমশ তারা বিচ্ছেদের দিকে এগিয়ে চলেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসে এবং কংগ্রেস ও এনসিপি-র সঙ্গে মহা বিকাশ আঘাদি জোট গড়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করে। এই জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে।
গত সপ্তাহেই শিবসেনা সাংসদ কীর্তিকার জানিয়েছিলেন ২০১৯ সালের মত আগামী লোকসভা নির্বাচনেও শিবসেনা মহারাষ্ট্রের ৪৮ আসনের মধ্যে ২২টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। যদিও সামনা-র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে শিবসেনা ২২টি আসন দাবি করলেও বিজেপির পক্ষ থেকে তাদের ৫ থেকে ৭টির বেশি আসন দেওয়া হবেনা বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার তিনি বলেন, রাজ্যে বিজেপি সঙ্গে শিবসেনার জোট রয়েছে এবং আমরা এনডিএ শরিক। সেই হিসেবে সমস্ত কাজকর্ম ঐক্যবদ্ধভাবে করা উচিৎ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হচ্ছে।
ওই প্রতিদেবনে আরও বলা হয়েছে মহারাষ্ট্রে বর্তমানে শিবসেনা বিজেপির জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধের মূল চালক দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। ফলে এটা স্পষ্ট যে, রাজ্যের সমস্ত ক্ষমতা এই মুহূর্তে বিজেপি কুক্ষিগত করে রেখেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন