৫০ টিরও বেশি রাজনৈতিক দল, ইউনিয়ন, সমিতি, এবং এনজিওগুলি শনিবার মহারাষ্ট্রের বিরোধী মহা বিকাশ আঘাদি (এমভিএ) দ্বারা আয়োজিত মেগা-মিছিলে যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাজ্যের সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে এই সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
শনিবার সকালে মহাবিকাশ আঘাদির সদস্য কংগ্রেস, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি, শিবসেনা-ইউবিটি ছাড়াও বেশ কয়েকটি ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রমিক ইউনিয়ন, শিক্ষক, অটো রিকশা ইউনিয়ন এবং সামাজিক গোষ্ঠীগুলি বাইকুল্লা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরবর্তী ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস (সিএসএমটি) পর্যন্ত আয়োজিত পদযাত্রায় যোগ দেবে।
বেশ কয়েকদিনের ধরে টালবাহানার পর, মুম্বাই পুলিশ অবশেষে শুক্রবারে মেগা-মোর্চার জন্য অনুমতি দিয়েছে। শনিবারের এই মিছিল ঘিরে রাস্তায় রাস্তায় কঠোর পুলিশি নিরাপত্তা মোতায়েন করা হচ্ছে।
এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর পুনেতে প্রায় ৮০ টি দল এবং গোষ্ঠীর সাথে একটি বিশাল মিছিলের পরে এটি মহাবিকাশ আঘাদির ডাকে দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রদর্শনী।
মিছিলে যোগদানকারী বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বিরোধী দলের নেতা অজিত পাওয়ার এবং কংগ্রেসের রাজ্য প্রধান নানা পাটোলে আছেন।
অন্যান্য বিশিষ্ট নেতৃত্ব, যারা এই সমাবেশে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে, তাঁদের মধ্যে আছেন জয়ন্ত পাতিল, নাসিম খান, সঞ্জয় রাউত, দিলীপ ওয়ালসে-পাতিল, ভাই জগতাপ, ডাঃ রঘুনাথ কুচিক। এছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা থাকবেন। একথা জানিয়েছেন এনসিপি মুখপাত্র মহেশ তাপসে।
শনিবারের মিছিলে তিন-চার লক্ষেরও বেশি মানুষের সমাগম হতে পারে বলে জানিয়েছেন মহা বিকাশ আঘাদি নেতৃত্ব। জানা গেছে, শনিবারের এই মিছিলকে উপলক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাজ্য জুড়ে হাজার হাজার কর্মী জমায়েত হতে শুরু করেছে।
প্রতিবাদের মূল বিষয়গুলি হবে মহান ব্যক্তিত্বদের ক্রমাগত অপমান, সাম্প্রতিক মন্তব্যের জন্য রাজ্যপালের অপসারণ, গুজরাটে শিল্প চলে যাওয়া, মহারাষ্ট্র-কর্নাটক সীমান্ত বিবাদ প্রভৃতি। একথা জানিয়েছেন মিছিলের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা আরিফ নাসিম খান।
তিনি বলেন, মিছিলকারীরা জনগণের ওপর নেমে আসা তীব্র মূল্যস্ফীতি, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, যুবকদের জন্য চাকরি, কিছু ক্ষমতাসীন জোটের মন্ত্রীদের দ্বারা মহিলাদের বিরুদ্ধে করা অবমাননাকর মন্তব্য এবং অন্যান্য জ্বলন্ত সমস্যাগুলির বিষয়ও উত্থাপন করবে।
রাজ্য জুড়ে অনুষ্ঠিত একাধিক প্রতিবাদের সাথে মিছিলটি ক্ষমতাসীন বালাসাহেবাঞ্চি শিবসেনা-ভারতীয় জনতা পার্টির জোটকে বিচলিত করেছে। ইতিমধ্যেই জোট সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধীদের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখানোর "আবেদন" জানানো হয়েছে।
সেনা-ইউবিটি-র জাতীয় মুখপাত্র কিশোর তিওয়ারি জানিয়েছেন, "এটি মহারাষ্ট্রের 'গর্ব এবং সম্মানের' প্রশ্ন এবং বর্তমান অবৈধ সরকার যেভাবে সমস্ত ফ্রন্টে রাজ্যের স্বার্থের ক্ষতি করার জন্য কাজ করছে তাতে রাজ্যের সমস্ত মানুষ বিরক্ত।"
মিছিলে আরও যারা যোগ দেবেন তাঁদের মধ্যে আছেন বিশিষ্ট নেতা বালাসাহেব থোরাট, আদিত্য ঠাকরে, আম্বাদাস দানভে, বিনায়ক রাউত, সুপ্রিয়া পাওয়ার। এছাড়াও বেশ কয়েকজন সাংসদ, বিধায়ক এবং অন্যান্য কর্মীরা এবং রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন দলের কর্মীরা এই সমাবেশে যোগ দিতে মুম্বাইয়ে আসছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন