আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করল মহাবিকাশ আঘাদি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে। জানা গেছে ইন্ডিয়া মঞ্চের অন্তর্ভুক্ত কংগ্রেস, শিবসেনা (ইউবিটি) এবং এনসিপি শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী আসন সমঝোতার বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছে।
মহাবিকাশ আঘাদির তিন মূল শরিকের মধ্যে শিবসেনা (ইউবিটি) লড়াই করবে ২০টি আসনে। কংগ্রেস লড়াই করবে ১৮টিতে এবং শারদ পাওয়ারের এনসিপি লড়বে ১০টি আসবে। এছাড়াও বঞ্চিত বহুজন আঘাদিকে নিজেদের ২০টি আসনের মধ্যে থেকে ২টি ছাড়বে শিবসেনা উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী। অন্যদিকে রাজু শেট্টি নামক এক নির্দল প্রার্থীকে ১টি আসন ছাড়বে শারদ পাওয়ারের এনসিপি।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে অবিভক্ত এবং এনডিএ শিবিরভুক্ত শিবসেনা ২৩ টি আসনে লড়াই করে ১৮টিতে জয়ী হয়। শারদ পাওয়ারের অবিভক্ত এনসিপি ১৯ আসনে লড়াই করে ৪টিতে এবং ২৫ আসনে লড়াই করে ১টি আসনে জয়ী হয় কংগ্রেস। বিজেপি সেবার ২৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয় ২৩টিতে।
যদিও এবার মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক ছবি সম্পূর্ণ আলাদা। শিবসেনার এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসা যার একটা বড়ো কারণ। যদিও বর্তমানে দ্বিধাবিভক্ত শিবসেনা এবং এনসিপি-র কারণে রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটাই বদলেছে। পাশাপাশি কংগ্রেস, শিবসেনা (ইউবিটি) এবং এনসিপি শারদ গোষ্ঠীর মহাবিকাশ আঘাদি এবারের নির্বাচনে বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপি অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে বলেই রাজনৈতিক মহলের অভিমত।
এখনও পর্যন্ত ইন্ডিয়া মঞ্চের শরিকদের মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে আসন সমঝোতা সম্পূর্ণ হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উত্তরপ্রদেশ। যেখানে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে সমঝোতায় ১৭ আসনে লড়বে কংগ্রেস। এছাড়াও আম আদমি পার্টির সঙ্গে গোয়া, গুজরাট, হরিয়ানা এবং দিল্লিতে আসন সমঝোতা সম্পূর্ণ হয়েছে কংগ্রেসের। তামিলনাড়ুতে ক্ষমতাসীন ডিএমকে সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসের আলোচনা চললেও এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও ঘোষণা হয়নি। যদিও স্ট্যালিনের রাজ্যে ইন্ডিয়া মঞ্চের অপর দুই শরিক সিপিআইএম ও সিপিআইকে ২টি করে আসন ছেড়েছে ডিএমকে।
পশ্চিমবঙ্গে ইন্ডিয়া মঞ্চের শরিক তৃণমূলের কাছে ৫টি আসন দাবি করলেও এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের দাবি মানেনি রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল। সূত্রের খবর কংগ্রেসকে ২টির বেশি আসন ছাড়তে রাজী নয় তৃণমূল। এছাড়াও প্রদেশ কংগ্রেসের একটা বড়ো অংশ কোনোভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে ভোটে লড়তে রাজি নয়। যদিও প্রদেশ কংগ্রেসের সেই মতামতকে গুরুত্ব দিতে খুব একটা রাজি নয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন