এনসিপি শারদ পাওয়ার গোষ্ঠীর কার্যকরী সভাপতি সুপ্রিয়া সুলে কড়া ভাষায় বিজেপির সমালোচনা করলেন। নির্বাচনমুখী মহারাষ্ট্রের পুণেতে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুপ্রিয়া বলেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং তার শরিকরা দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। সুপ্রিয়ার আরও অভিযোগ, বিজেপি এবং তার শরিকরা মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন খ্যাতনামাদের অবমাননা করছে এবং ইতিহাস ‘বিকৃত’ করছে।
এদিন বারামতীর সাংসদ সাংবাদিকদের বলেন, শেষ নির্বাচনে দুর্নীতির ইস্যু সামনে তুলে এনেছিল বিজেপি। কিন্তু এখন আর তাদের মুখে দুর্নীতির কথা নেই। কারণ তারা নিজেরাই দুর্নীতিতে সম্পূর্ণরূপে ডুবে রয়েছে। এই মুহূর্তে বিজেপি এবং তার শরিকদের আমাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার মত নেই।
তিনি বিজেপি এবং মহাযুতির কড়া সমালোচনা করে বলেন, রাজ্যের কংগ্রেস এনসিপি শিবসেনা সরকারই ক্ষমতায় থাকাকালীন কৃষকদের ঋণ মকুব করেছিল। রাজ্যের মহা বিকাশ আঘাদি সরকারই ক্ষমতায় থাকার সময় কৃষকদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) নিশ্চয়তা দিয়েছিল।
সুপ্রিয়ার অভিযোগ, বিজেপি এবং তার শরিকরা ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ, সাহু মহারাজ, মহাত্মা ফুলে এবং ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকরের মতো মহারাষ্ট্রের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্বদের অবমাননা করছে। ইতিহাসের বিকৃতি ঘটাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিজেপি এক মহিলা বিরোধী দল। বিজেপি সাংসদরা কোলাপুরে মহিলাদের হুমকি দিচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এবং আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি।
আগামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ২৮৮ আসনে ভোটগ্রহণ। ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হবে ২৩ নভেম্বর। এই নির্বাচনে মুখ্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মহাযুতি ও মহাবিকাশ আঘাদি। যে দুই শিবিরের প্রধান দলগুলি হল বিজেপি, শিবসেনা একনাথ শিন্ধে গোষ্ঠী এবং এনসিপি অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী। অন্যদিকে মহা বিকাশ আঘাদিতে আছে কংগ্রেস, শিবসেনা উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী এবং এনসিপি শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী। উল্লেখ্য, শিবসেনাতে ভাঙন ধরিয়ে ২০২২ সালের জুন মাসে রাজ্যে ক্ষমতাসীন হয় বিজেপি শিবসেনা একনাথ শিন্ধে জোট। পরে এনসিপি ভেঙে এই জোটে যোগ দেন অজিত পাওয়ার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন