যারা দল ভাঙাভাঙি করে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে এবারের নির্বাচনে সেই শক্তিকে পরাস্ত করুন। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এই ভাষাতেই শাসক মহাযুতি জোটকে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেন বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার। এদিন তিনি আরও বলেন, রাজ্যের শাসক শক্তি সবসময় মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে শনিবার এনসিপি (শারদ পাওয়ার) গোষ্ঠীর প্রধান শারদ পাওয়ার মহারাষ্ট্রের জনগণের উদ্দেশ্যে সংবাদমাধ্যমে এক আবেদন জানিয়েছেন। এদিনই তাঁর ওই আবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ওই আবেদনে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে রাজ্যের হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনাই প্রথম লক্ষ্য।
৮৩ বছর বয়স্ক শারদ পাওয়ার তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের সবথেকে বড়ো সমস্যা মহিলাদের ওপর অত্যাচার, কৃষকদের ক্রমবর্ধমান সমস্যা এবং কর্মসংস্থানের অভাব। রাজ্যের মানুষ কী চাইছেন তা ২৩ তারিখ ভোট গণনা হলেই বোঝা যাবে।
রাজ্যে মহিলাদের ওপর হিংসার ঘটনার বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, গত দু’বছ্রে রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসার ৬৭ হাজার মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুসারে রাজ্য থেকে ৬৪ হাজার মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে। যে সব অঞ্চল থেকে মহিলারা নিখোঁজ হয়েছে তার মধ্যে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের বাড়িও আছে। এই সরকার মহিলাদের সুরক্ষা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
শারদ পাওয়ার অভিযোগ করেন, রাজ্যে মহাযুতির শাসনকালে সর্বস্তরে দুর্নীতি বেড়েছে। মূল প্রশ্ন সরকারি বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে। কবে এই দুর্নীতি বন্ধ হবে? রাজ্য সচিবালয়ের বিভিন্ন বাংলো দুর্নীতির কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সেখান থেকে দুর্নীতি পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি ওই আবেদনে আরও জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে। বেকারত্ব বাড়ছে। কৃষির ক্রমবর্ধমান সংকট কৃষকদের দুর্দশার কারণ হচ্ছে। কৃষকরা ফসলের দাম পাচ্ছেন না। সেই সময় রাজ্যে সাম্প্রদায়িক ও জাতিবাদী রাজনীতি চলছে শাসকের মদতে।
শারদ পাওয়ার বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায় এবং তাঁরা পরিবর্তন আনবে। এবারের নির্বাচনে মানুষ মহা বিকাশ আঘাদির পাশে দাঁড়াবে। এই বছরের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের মানুষ যেমন মহাযুতির ওপর থেকে তাঁদের সমর্থন তুলে নিয়েছে তেমনই বিধানসভা নির্বাচনেও তাদের থেকে মুখ ফেরাবে।
আগামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের ২৮৮ বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ। ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে ২৩ নভেম্বর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন