“পৃথিবীর কোনও শক্তি ৩৭০ ধারা পুনরায় চালু করতে পারবে না।” শুক্রবার মহারাষ্ট্রের ধুলেতে এক নির্বাচনী সমাবেশে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই দিনেই সাংলিতে এক নির্বাচনী জনসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, আপনাদের অবগতির জন্য বলছি, ৩৭০ ধারা আর কোনদিনই ফিরিয়ে আনা হবে না।” মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তথা এনডিএ প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে আজই একাধিক প্রচারে অংশ নিয়েছেন মোদী-শাহ জুটি।
জম্মু ও কাশ্মীরে ধারা ৩৭০ ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন একই সুরে কথা বলেছেন। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারতে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এটাই সবথেকে বড়ো সিদ্ধান্ত।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে মুহূর্তে কংগ্রেস তাদের সহযোগী ন্যাশনাল কনফারেন্স জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার গঠনের সুযোগ পেয়েছে তখনই তারা আবার কাশ্মীর নিয়ে চক্রান্ত শুরু করেছে। তারা আবার ধারা ৩৭০ ফিরিয়ে আনতে প্রস্তাব পাশ করেছে। কিন্তু এটা কখনই সম্ভব হবে না।
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার দাবি উড়িয়ে দিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের মানুষ দেখেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভায় কী হয়েছে। আমাদের ওপর মানুষের আশীর্বাদ আছে। কোনও কিছুর পরিবর্তন হবে না।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে এদিন তিনি বলেন, কংগ্রেস চিরকাল দেশকে ভাগ করার চক্রান্তের অংশীদার। তিনি আরও বলেন, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার কখনও কংগ্রেসকে কোনও ‘পাকিস্তানি এজেন্ডা’ রূপায়ণের সুযোগ দেবে না।
উল্লেখ্য, এদিনই জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় সংবিধানের ধারা ৩৭০ ফিরিয়ে আনার দাবিতে চরম হট্টগোল হয়। শুক্রবার বিতর্কের সূত্রপাত হয় কুপওয়ারা কেন্দ্রের পিডিপি বিধায়কের একটি ব্যানার নিয়ে। যেখানে ৩৭০ ধারা পুনরুদ্ধারের সমর্থনে কিছু লিখেছিলেন তিনি। তাঁকে দেখে 'ভারত মাতা কি জয়' স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। তারপরই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিধায়করা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে মার্শাল ডাকতে বাধ্য হন স্পিকার আব্দুল রহিম। ১২ জন বিজেপি বিধায়কের পাশাপাশি আওয়ামি ইত্তেহাদ দলের বিধায়ক খুরশিদ আহমেদ শেখকেও বিধানসভা কক্ষ থেকে বের করে দেয় মার্শাল। যার প্রতিবাদ জানাতে থাকেন বাকি বিজেপি বিধায়করা। পরে ১১ জন বিজেপি বিধায়ক ওয়াকআউট করেন।
গতকাল আওয়ামি ইত্তেহাদ দলের বিধায়ক খুরশিদ আহমেদ শেখ বিধানসভায় ৩৭০-র সমর্থনে একটি পোস্টার দেখান। যার তীব্র আপত্তি জানান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক সুশীল শর্মা। প্রথমে বচসা শুরু হলেও পরে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। মাটিতে ফেলে একে অন্যকে মারতে দেখা যায়। মার্শালরা নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন