লোকসভায় আসন বন্টন নিয়ে মন্তব্য করার একদিন পরেই পিছু হটলেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। গতকালই তিনি জানিয়েছিলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি মহারাষ্ট্রের ৪৮ আসনের মধ্যে ২৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। যদিও সোমবার তিনি জানান সহযোগী দলগুলির সঙ্গে আলোচনার পরেই কোন দল কত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তা ঠিক হবে।
বর্তমানে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন মহায়ুতি জোটে আছে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা গোষ্ঠী, বিজেপি এবং অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি গোষ্ঠী।
এদিন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ সাংবাদিকদের জানান, জোটসঙ্গীদের মধ্যে লোকসভা নির্বাচনের আসন বন্টন নিয়ে এখনও কোনও কথা হয়নি। সাধারণভাবে বিগত নির্বাচনে যে দল এর আগে যে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল তাদের সেই আসন দেওয়া হবে। যদিও রবিবার ফড়নবীশ জানিয়েছিলেন রাজ্যের ৪৮ আসনের মধ্যে ২৬টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বিজেপি এবং অন্যান্য দলকে ২২ আসন দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে শিবসেনা এবং বিজেপি জোট যথাক্রমে ২৩ এবং ২৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৪১টি আসনে জয়ী হয়। যার মধ্যে বিজেপি জয়ী হয় ২৩ আসনে এবং শিবসেনা ১৮ আসনে। অন্যদিকে ১৯ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এনসিপি জয়ী হয় ৪ আসনে। ২৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১টি আসনে জয়ী হয় কংগ্রেস এবং ১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয় এআইএমআইএম।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে এনডিএ-র প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল শতকরা ৫১.৩৪ শতাংশ এবং ইউপিএ-র ভোটের হার ছিল ৩২.০৭ শতাংশ। যদিও বিগত সময়ে একদিকে যেমন শিবসেনা ভেঙে দু’টুকরো হয়েছে তেমনি দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছে এনসিপি-ও। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যের সরকার এবং বিরোধীপক্ষের সঙ্গে শিবসেনা এবং এনসিপি-র একটি করে গোষ্ঠী রয়েছে। বিরোধী মহাবিকাশ আঘাদিতে আছে কংগ্রেস, শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠী এবং এনসিপি শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন জোটে আছে বিজেপি, শিবসেনার একনাথ সিন্ধে গোষ্ঠী এবং এনসিপি-র অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন