এখনও মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে সুর নরম কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর। রাজ্যে যখন কংগ্রেসের হাত ধরতে নারাজ তৃণমূল, তখনও মমতা ব্যানার্জির সাথে জোটে থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
মঙ্গলবার ২৪ দিনে পড়েছে রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'। ঝাড়খণ্ডে এদিন যাত্রার মাঝে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাহুল। সেখানেই ইন্ডিয়া মঞ্চ নিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। রাহুল বলেন, 'সকলে যদি মমতাজির কথা ভালো করে শোনেন তাহলে বুঝবেন এখনও তিনি ইন্ডিয়া জোটের সাথেই রয়েছেন। নীতিশ কুমারের বিষয়টা আলাদা। সকলেই অনুমান করতে পারেন কেন তিনি ইন্ডিয়া ছেড়ে এনডিএ জোটে ফিরে গেছেন'।
প্রথমে ইন্ডিয়া মঞ্চের সমস্ত বৈঠকে অংশগ্রহণ করলেও পরে বেঁকে বসেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। কিছু দিন আগেই তিনি বলেছিলেন, "ইন্ডিয়া নাম আমি দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার দুঃখ একটাই যে যখনই বৈঠক হয় তখনই বৈঠক নিয়ন্ত্রণ করে সিপিএম। যাদের সাথে দীর্ঘ ৩৪ বছর লড়াই করেছি তাদের কোনো পরামর্শ মানতে রাজি নই। আমি খুব অপমানিত বোধ করি। আমি এটা মানবো না"।
শুধু তাই নয়, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কংগ্রেস লোকসভা ভোটে ৪০টি আসন পাবে কি না ঠিক নেই, এমন মন্তব্যও করেছেন তিনি। রাজ্যে মূলত অধীর চৌধুরীর সাথে বামেদের 'বন্ধুত্ব' নিয়েই আপত্তি তৃণমূলের তা স্পষ্ট। আবার সেই অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বেই ২৮ সদস্যের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ নির্বাচন কমিটি ঘোষণা করেছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
এই মন্তব্যের পরেও রাহুল গান্ধী বা কংগ্রেসের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা কেউই মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি। বরং কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছিলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের যা লক্ষ্য মমতা ব্যানার্জিরও একই লক্ষ্য। বিজেপিকে হারানোই তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য।
অন্যদিকে বিহারে নীতিশকে বাদ দিয়েই যে ইন্ডিয়া মঞ্চ ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়বে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে বিহারে ইন্ডিয়া জোট লড়বে। অনেকে বলছেন যে আমাদের সহযোগীরা একসাথে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না। কিন্তু সেই কথা আমি মানতে পারছি না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন