মণিপুরে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই পথে নেমে তীব্র বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন দলীয় সমর্থকরা। দলের প্রার্থী তালিকা দেখে চূড়ান্ত হতাশ তাঁরা, তাই এই বিক্ষোভ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের কুশপুত্তলিকা পোড়ান বিজেপি কর্মীরা। রাজ্যের একাধিক জায়গায় পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়। ইম্ফলে বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, টিকিট না পেয়ে বেশ কয়েকজন নেতা বিজেপি ছেড়েছেন। তবে দলত্যাগীদের সংখ্যাটা সঠিকভাবে জানা যায়নি এখনও। প্রার্থী তালিকায় কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়ায় অসন্তুষ্ট হয়েছেন তাঁরা।
আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের জন্য গতকাল বিজেপি যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে, সেখানে কমপক্ষে ১০ জন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতার নাম রয়েছে। তবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য নির্বাচনের ইনচার্জ ভূপেন্দর যাদব বলেছেন, "যাঁরা দীর্ঘকাল ধরে দলের সঙ্গে যুক্ত এবং মণিপুরে বিজেপির সাথে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন, তাঁদেরই টিকিট দেওয়া হয়েছে।"
মণিপুরে ৬০টি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং তাঁর ঐতিহ্যবাহী আসন হেইনগাং থেকে লড়বেন। প্রার্থী তালিকায় তিনজন প্রাক্তন আইএএস অফিসারের নামও রয়েছে - নুংবা থেকে ডিঙ্গাংলুং গ্যাংমেই (দীপু), কাকচিং থেকে ইয়েংখোম সুরচন্দ্র সিং এবং উরিপোক থেকে রঘুমণি সিং লড়ছেন।
প্রসঙ্গত, মণিপুর বিধানসভা নির্বাচন দুই দফায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে, ২৭ ফেব্রুয়ারি ৩৮টি বিধানসভা আসনে ভোট গ্রহণ হবে এবং দ্বিতীয় দফায়, ২২ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ৩ মার্চ ভোটগ্রহণ হবে। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, বিজেপি ২১টি আসন জিতেছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠ না হয়েও ছোট ছোট দল এবং নির্দল বিধায়কদের নিয়ে সরকার গঠন করেছিল। কংগ্রেস জিতেছিল ২৮টি আসন। একক বৃহত্তম দল হয়েও সরকার গঠন করতে পারেনি তারা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন